Section 377: রামধনু রঙের স্কার্ফ পরে নাচছেন হোটেলকর্মীরা।
নিউ দিল্লি: সমকামিতা (homosexuality)-কে আজ একটি যুগান্তকারী রায় দিয়ে বৈধ ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি 377 ধারা অপ্রাসঙ্গিক ও অযৌক্তিক। এই রায়ের পরপরই গোটা নাগরিক সমাজ জুড়ে খুশির হাওয়া। যার প্রভাব পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। অজস্র মানুষ ভালোবাসার রং রামধনুতে রাঙিয়ে নিয়েছে তাদের প্রোফাইল। এই রায়ের পরেই দিল্লির ললিত হোটেলে দেখা গেল এক অভিনব দৃশ্য। ওই হোটেলের কর্মচারীরা ঘাড় ও কোমরে রামধনু রঙের স্কার্ফ বেঁধে শুরু করলেন নাচ। সকলে মিলে নাচছেন আনন্দে। সে এক অনবদ্য দৃশ্য! কেউ কেউ অন্যদেরও ডেকে নিলেন সেই আনন্দের অংশীদার করার লক্ষ্যে। প্রসঙ্গত, দিল্লির ললিত হোটেলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কেশব সুরি নিজেই একজন সক্রিয় এলজিবিটি (LGBT) কর্মী।
“যে যে বিচারপতি এবং সাধারণ মানুষ এই নিয়ে কাজ করেছিলেন এতদিন, তাঁদের প্রত্যেককে অভিবাদন জানানো উচিত। আমাকে নয়। এই ধন্যবাদ প্রাপ্য তাঁদের, যাঁরা এতদিন পাশে ছিলেন। আনন্দ করার জন্য এর থেকে ভালো সময় আর হয় না”, বলেন কেশব সুরি। তিনি নিজেও পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বললেন, “আমি যেরকম, আমি সেরকমই। তাই, আমাকে আমার মতো করেই গ্রহণ করা হোক”। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন বিচারপতির রায়ে আজ থেকে সমকামিতাকে আর অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না। এই রায়ের ফলে 2013 সালে নিজেদেরই দেওয়া রায়কে বাতিল করে দিল শীর্ষ আদালত। আগামি অক্টোবর মাসের দু’তারিখ অবসর গ্রহণ করবেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। তার আগেই দেওয়া এই রায়টিতে তিনি বললেন, “কেউই তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব থেকে বেরোতে পারে না”।
সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ বছর আগে একটি রায় দিয়ে সমকামিতাকে ‘অপরাধ’ বলে ঘোষণা করার পর পুলিশি হয়রানিও বেড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বহু এলজিবিটি কর্মী। ব্রিটিশ আমলের ওই আইনটিতে সমকামিতার শাস্তি ছিল দশ বছরের জেল।