কলকাতা: ক্রিসমাস এবং নববর্ষের উদযাপনের কথা মাথায় রেখে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে কলকাতা শহরের মধ্যে ও বাইরে এবং বাংলার সীমান্তে বিস্তারিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা ও রাজ্যপুলিশ। সব মিলিয়ে ২১ টি বিভাগীয় মোবাইল টহলদারি ভ্যান থাকবে রাজধানী শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। আগামী কয়েক দিন ধরে চলা উৎসবে কোনও রকমের ঝামেলা এড়িয়ে উদযাপন নিশ্চিন্ত করতে উদ্যোগী পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এই সময়ের জন্য একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছি। উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পার্কস্ট্রিটকে মাঝে রেখে বিভিন্ন রাস্তার ট্রাফিক সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে বা বিভিন্ন রাস্তা পরিবর্তনও করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা ধর্মতলা, শিয়ালদহ, হাওড়া এবং শহরের আরও বেশ কয়েকটি মূল প্রবেশের জায়গায় চেক পয়েন্ট স্থাপন করেছি।”
এছাড়াও, পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং আলিপুর চিড়িয়াখানা, বিভিন্ন বিনোদনের পার্ক, শপিং মল এবং মেট্রো স্টেশনেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই অফিসার আরও জানিয়েছেন, “এছাড়া, ১৩ টি কুইক রেসপন্স টিম (QRT) এবং ১৪ টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস) ভ্যানগুলি শহরের গুরুত্বপূর্ণ কোণে কোণে রাখা হবে।” স্থানীয় পুলিশ স্টেশনগুলি নাইট ক্লাব, বার, হোটেল এবং রেস্তোরাঁর জন্য বেশ কিছু বাধ্যতামূলক নিয়ম জারি করেছে। পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, “সিসিটিভি প্রতিটি রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং দোকানে বসানো আবশ্যক। আমাদের সাদা পোশাকের পুলিশ এবং অন্যান্য অফিসাররা সারাদিন ধরে সমস্ত জায়গায় পর্যবেক্ষণ চালাবেন।"
পার্কস্ট্রিটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, পুরো এলাকা সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। ১১ টি ওয়াচটাওয়ার বসানো হয়েছে ওই এলাকায়। দশ জন ডেপুটি কমিশনারও ওই এলাকায় কড়া নজরদারি রাখবেন।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ পার্কস্ট্রিটে আগামীকাল থেকে নববর্ষ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪ টে থেকে গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর বিষয়টি নজরে রাখতে উৎসবের সময়ে গোয়েন্দা বিভাগের (ডিডি) একটি দল সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে ওই এলাকায়। শহরের ইভটিজারদের রুখতে বাইকে চেপে মহিলা অফিসারদের একটি দলও কাজ করবে। পুলিশ জানিয়েছে, "এই ধরনের ২৫ টি দল পার্কস্ট্রিট এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজর রাখবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৬ টি পুলিশ বুথও মানুষকে সহায়তা করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। জরুরি অবস্থায় কলকাতা পুলিশকে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (ডিএমজি)।”
রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রসঙ্গে রাজ্যর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সহ অন্তর্বর্তী সীমানায় কোনও রকমের অসামাজিক কাজ বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা বিএসএফের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করেছি। সীমান্তে শান্তি লঙ্ঘন করার যে কোন প্রচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করা হবে।”
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)