This Article is From Oct 14, 2018

স্ত্রী ও পুত্রকে গুলি করে বিচারককে ফোন করেছিল নিরাপত্তার রক্ষী

নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা রক্ষীর গুলিতে গুরুতর জখম হলেন বিচারকের  স্ত্রী ও পুত্র। আজ দুপুরে    গুরুগাঁওতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আহত দুজনেরই চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

একটি সূত্র বলছে বিচারকের পরিবারের দুর্ব্যবহার বিরক্ত  হয়েই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে মহিপাল।

 গুরুগাঁও:

নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা রক্ষীর গুলিতে গুরুতর জখম হলেন বিচারকের স্ত্রী ও পুত্র। গুরুগাঁওতে শনিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আহত দুজনেরই চিকিৎসা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে বিচারকের স্ত্রী রিতু  আপাতত বিপদ মুক্ত। অতিরিক্ত  সেশন জজ কৃষ্ণকান্ত শর্মার স্ত্রী ও ছেলে ধ্রুব বাজার করার উদ্দেশ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন । সঙ্গে  ছিল মহিপাল নামে ওই নিরাপত্তারক্ষী। একে ব্যক্তির মোবাইল ফোনে তোলা একটি ভিডিয়ো ফুটেজে  দেখা গিয়েছে মহিপাল প্রথমে  বিচারকের স্ত্রীকে গুলি করে। পরে  তাঁর  ছেলেকেও গুলি করে মহিপাল। আহত অবস্থায় বিচারকের ছেলেকে গাড়িতে  তোলার চেষ্টা  করে মহিপাল। ব্যর্থ হয়ে তাঁকে রাস্তায়  ফেলে  রেখেই গাড়ি নিয়ে চলে যায়। সে সময় প্রথমে বিচারক পরে আরও কয়েকজনকে ফোন করে  গুলি চালানোর কথা  বলে।

প্রকাশ্য  রাস্তায়  গুলি চালানোর পর গাড়ি চালিয়ে সদর থানায় যায় মহিপাল। থানায় গিয়ে আরও একবার  গুলি চালায় মহিপাল। গুলি চালিয়ে সেখান থেকেও পালিয়ে যায় ওই নিরাপত্তা রক্ষী। পরে অবশ্য তাঁকে গ্রেফতার করতে  পেরেছে পুলিশ। কিন্ত ঠিক কী কারণে তিনি  গুলি চালিয়েছেন তা  স্পষ্ট  নয়। টানা জেরা করা হচ্ছে মহিপালকে । একটি সূত্র বলছে বিচারকের পরিবারের দুর্ব্যবহার বিরক্ত  হয়েই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে মহিপাল। ভিআইপি  বা  ভিভিআইপিদের  নিরাপত্তা দিতেই কর্মী নিয়োগ করা  হয়। কিন্ত মাঝে মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। এ ক্ষেত্রে মহিপাল কেন গুলি চালাল তা  জানার কাজ শুরু হয়েছে। মহিপালকে জেরা করা হচ্ছে । সুস্থ হলে  বিচারকের স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গেও কথা  বলবে  পুলিশ। 

.