This Article is From Jul 24, 2018

"দেখুন, তখনও ও ভালো ছিল", পুলিশের গাড়িতে তোলার আগে রাকবর খানের শেষ ছবি

এই ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে নওল কিশোরের মাধ্যমে। তিনিই প্রথম ফোন করে পুলিশকে খবরটা জানান।

তিনঘন্টা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন রাকবর খান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে 'মৃত' ঘোষণা করা হয়

হাইলাইটস

  • গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয় রাকবর খান'কে
  • হাসপাতালে নিয়ে যেতে সময় লাগে তিনঘন্টা
  • যাঁরা পুলিশ ডেকেছিলেন, তাঁদের দাবি ভ্যানে তোলার আগে রাকবর বেঁচেছিল
আলোয়ার, রাজস্থান:

রাজস্থানের আলোয়ারে গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা রাকবর খানের একটি ছবি সামনে আসার পর এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ককে আরও উসকে দিল। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল আরও জোরালোভাবে। এই ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে নওল কিশোরের মাধ্যমে। তিনিই প্রথম ফোন করে পুলিশকে খবরটা জানান। তারপর নওল কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অবধি যে তিন ঘন্টা সময় লাগে, তার প্রায় পুরোটা সময়ই পুলিশের সঙ্গে ছিলেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকদের তরফ থেকে রাকবর খানকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়।

স্পেশাল ডিজিপি এনআরকে রেড্ডি সংবাদসংস্থা এএনআই’কে জানান, “পুলিশি হেফাজতে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে, হ্যাঁ, প্রাথমিক তদন্তে আমরা যা জানতে পেরেছি, তা থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ওই সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটিই নিতে ভুল করে ফেলেছিল পুলিশকর্মীরা”।

যে হাসপাতালে রাকবর খানকে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার এক ডাক্তার এনডিটিভিকে বলেন, গণপ্রহারের পর অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় রাকবর খানের। রাকবারের ভাই জানান তাঁর ঘাড়টিও ভাঙা ছিল। মায়া নামের এক মহিলা প্রত্যক্ষদর্শী এনডিটিভিকে জানান, পুলিশ তাদের গাড়িতেই মারধর করছিল রাকবরকে। তার সঙ্গে ছিল অশ্রাব্য গালিগালাজও।  

পুলিশের গাড়িতে রাকবর খানকে তোলার পর তাঁর কয়েকটি ছবি তোলেন নওল কিশোর। সেই ছবিগুলি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, রাকবরের আঘাত তত গুরুতর নয়। “আমি এই ছবিগুলো ওকে পুলিশ ভ্যানে তোলার পর তুলেছিলাম, দেখুন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তখনও পর্যন্ত ও ঠিকই ছিল”, বলেন নওল কিশোর। তিনি কথাতেই রয়েছে স্পষ্ট ইঙ্গিত, ভোর চারটের সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে শেষবার যখন পুলিশের গাড়িটি থেমেছিল, তখনও ঠিক ছিলেন রাকবর।

মাঝরাস্তায় চা খাওয়ার জন্য যখন গাড়ি থামায় ওই পুলিশকর্মীরা, তারপর থেকে আর তাদের সঙ্গে যাননি নওল কিশোর। পুলিশরা চলে যাওয়ার পর তিনি রাকবরের দুটো গরুকে নিয়ে স্থানীয় একটি গোয়ালে রাখতে যান।

ভোর চারটের সময় হাসপাতালে পৌঁছায় পুলিশের ভ্যান। আলোয়ারের লালওয়ান্ডি গ্রামের যেখানে রাকবরকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে উন্মত্ত জনতার রোষের মুখ থেকে তাঁকে রাত একটার সময় উদ্ধার করা হয়। ওই জায়গা থেকে হাসপাতালে যেতে সময় লাগে মেরেকেটে কুড়ি মিনিট, অথচ, সেটুকুই পার করতে লেগে গেল তিন ঘন্টা। চলে গেল একজন মানুষের জীবন।

.