This Article is From Nov 27, 2019

মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার বুলেট ট্রেন নিয়ে মাথা ঘামাবে না, জানাচ্ছে শিবসেনা

শিবসেনার বিধায়ক দীপক কাসারকার জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের কাছে অগ্রাধিকার কৃষকদের। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি বুলেট ট্রেনের কোনও প্রয়োজন নেই।’’

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

মুম্বই:

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) নতুন সরকার গড়তে প্রস্তুত শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি (Shiv Sena-Congress-NCP front)। NDTV-কে বুধবার এক শিবসেনা নেতা জানিয়েছেন, নতুন সরকার মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের (Bullet Train Project) গতিরোধ করবে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে সরকারহীন মহারাষ্ট্রে গত এক সপ্তাহের নাটকের পর অবশেষে গঠিত হতে চলেছে নয়া সরকার। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনা জানাচ্ছে, তারা নানরের তেল শোধনাগারের কাজও বন্ধ হতে চলেছে। নতুন করে মু্ম্বইয়ের অ্যারি এলাকায় আর কোনও গাছ কাটতে দেওয়া হবে না বলে জানাচ্ছে তারা। দলীয় মুখপাত্র মণীষা কায়ান্দে বলেন, এসবই করা হবে কৃষকদের কল্যাণে। প্রসঙ্গত, এই গাছ কাটার বিষয়টি ছিল নির্বাচনি ইস্যু।

বুধবার শিবসেনার বিধায়ক ও আগের সরকারের এক মন্ত্রী দীপক কাসারকার জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের কাছে অগ্রাধিকার কৃষকদের। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি বুলেট ট্রেনের কোনও প্রয়োজন নেই।''

উদ্ধব ঠাকরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে মোদি-অমিত শাহকে? জেনে নিন সেনার জবাব

মহারাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর সেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট জানিয়েছে তাদের লক্ষ্য মহারাষ্ট্রকে নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা NDTV-কে জানাচ্ছেন, ‘‘ওই প্রকল্প এগিয়ে চললে কেন্দ্রকে তার মূল্য চোকাতে হবে। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ফলে মহারাষ্ট্রের কোনও লাভ হবে না।''

মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের শপথের আগে অজিত পাওয়ারকে স্বাগত জানাল জোট

সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে এনসিপির এক সূ্ত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রকে নতুন সরকার জানিয়ে দেবে তারা বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ব্যয় বহন করবে না।

এর আগে কংগ্রেস সূত্র NDTV-কে একই কথা জানিয়েছে।

এবার বন্যায় বহু একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আপাতত বুলেট ট্রেনের উপর থেকে ফোকাস সরিয়ে নতুন সরকার সেই অসহায় কৃষকদের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

.