தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jun 23, 2020

গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সামরিক স্তরে ফের আলোচনা

India-China Ties: গত ৬ জুন হওয়া একটি বৈঠকে ঠিক হয়, ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখান থেকে চিন তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Highlights

  • ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে ফের আলোচনায় বসছেন দুই দেশের সামরিক কর্তারা
  • ১৫ জুন দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষে মারা যান ২০ ভারতীয় জওয়ান
  • আহত হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় সেনা
নয়া দিল্লি:

গালওয়ানে ভারত ও চিনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ (Ladakh Face-Off) সহ বিতর্কিত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ফের ভারত ও চিনের শীর্ষ সামরিক কর্তারা (Ladakh Standoff) আলোচনায় বসছেন। জানা গেছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের ওই আলোচনা (India-China Ties) পূর্ব লাদাখের কাছে চিন সীমান্তের দিকে চুশুলের মোলদোয় অনুষ্ঠিত হবে। সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, "গালওয়ান (Galwan Valley) এবং ফিঙ্গার্স এলাকা নিয়ে তো আলোচনা হবেই, সেই সঙ্গে অন্য সমস্ত ইস্যু নিয়েও আলোচনা করা হবে"। এর আগে গত ৬ জুন এমন আরেকটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখান থেকে চিন তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে। কিন্তু তারপরে দেখা যায় যে চিন কথায় এক আর কাজে আরেক করছে। ১৫ জুন ফের ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে, যাতে প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় সেনার ও আহত হন কমপক্ষে ৭৬ জন।

লাদাখ সংঘর্ষ থেকে শিক্ষা! সীমান্তের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন করল সেনা 

চার দশক পর আবার কেন রক্তাক্ত হল লাদাখ উপত্যকা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বসে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা বলছেন, লালফৌজের চোখে চোখ রেখে কথা, সহ্য করতে পারেনি চিন। তাই কিছুটা পালটা দিতে এই সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে। ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ এবং তাতেই প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর "ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত": লাদাখ কাণ্ড নিয়ে বললেন মনমোহন সিং

যদিও ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৫ জন জওয়ান। যদিও চিনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত বিবৃতি মেলেনি।

Advertisement

এদিকে ২১ জুন (রবিবার), প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং ৩ বাহিনীর সেনাপ্রধানের মধ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চিনাদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধলে পরিস্থিতি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছলে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় সেনা।

ওই বৈঠক শেষে একটি সূত্র জানায়, সিদ্ধান্ত হয়েছে যে "ভারত শান্তি চায় তবে চিনার উস্কানিমূলক কাজ করলে তার প্রতিশোধও নেওয়া হবে।"

Advertisement

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেন যে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement