লকডাউনের মধ্যেই ফি বাড়াচ্ছে একাধিক স্কুল!
নয়া দিল্লি: করোনা (coronavirus) লকডাউনের (lockdown) মধ্যে অনেক স্কুল বেতন বৃদ্ধির (Fee Hike) কথা ঘোষণা করায় নতুন করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অভিভাবকদের কপালে। তাঁরা ইতিমধ্যেই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে তাঁদের বিনীত অনুরোধ, লকডাউনের সময় স্কুলের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি যেন গুরুত্ব নিয়ে বিবেচনা করা হয়।
লকডাউন চলায় আপাতত ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখল কলকাতার দুটি স্কুল
গুজরাট সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে, বেসরকারি স্কুলগুলি নতুন বছরে কোনও ভাবেই বেতন বৃদ্ধি করতে পারবে না। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও স্কুলগুলিকে বেতন না বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। ব্যতিক্রম রাজধানী। দিল্লি এনসিআর-এ স্কুলের মাইনে বাড়ানো নিয়ে এখনও কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারি হয়নি।
নয়ডার একটি স্কুলের অভিভাবক পি জোশীর তাই আক্ষেপ, "পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে! কেউ জানে না।আমরা কবে আবার অফিসে ফিরব? তাও জানি না। এমন অবস্থায় স্কুলের মাইনে বাড়ানো বোধহয় অমানবিকতার নিদর্শন। কোথা থেকে বর্ধিত বেতন দেব আমরা?"
ভাষণে মুখ ঢাকলেন গামছায়! কোটের পর মোদির সৌজন্যে জনপ্রিয় এই বস্ত্রখণ্ড?
গুড়গাঁওয়ের এক অভিভাবক জাগৃতি শুক্লা বলেছেন, "আমরা স্কুলগুলির অবস্থা বুঝতে পারছি। কিন্তু আমাদের পরিস্থিতি বুঝবে কে! এই সময় বেতনবৃদ্ধি এড়ানো যায় না?" এদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে মার্চ মাসের মাঝামাঝি স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২১ দিনের লকডাউন বাড়িয়ে ৩ মে করা হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই অনেক স্কুল অনলাইনে পড়াচ্ছে।
রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, লকডাউনের সময় স্কুলের বেতন বাড়ানো যাবে না। এদিকে অভিভাবকেরা এও জানেন না, এই সময়ের বেতন পরে নেওয়া হবে কিনা। বেশির ভাগ রাজ্য যখন স্কুলের বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তখন একমাত্র দিল্লি সরকার এবিষয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি না করায় আতান্তরে পড়েছেন অভিভাবকেরা। এবং, দিল্লির বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষেরা ধরে নিয়েছেন নতুন শিক্ষাবর্ষে তাঁরা মাইনে বাড়ানোর অনুমোদন পাবেন।