This Article is From Mar 24, 2020

চলছে লকডাউন! ১০১ দিন পর শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ

Shaheen Bagh: কোভিড-১৯ এর কারণে ১৪৪ ধারা চলছে যাতে বৃহত্তর সমাবেশকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছয় মহিলা ও তিন পুরুষসহ নয় জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ১০১ দিন পর খালি করে দেওয়া হল দিল্লির শাহিনবাগ।

হাইলাইটস

  • সকাল ৭ টা নাগাদ প্রতিবাদের স্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
  • ছয় মহিলা ও তিন পুরুষসহ নয় জনকে আটক করা হয়েছে।
  • ১০১ দিন পর খালি করে দেওয়া হল দিল্লির শাহিনবাগ।
নয়াদিল্লি:

ফাঁকা করে দেওয়া হল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বা CAA-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অন্যতম কেন্দ্রস্থল শাহিনিবাগ (Shaheen Bagh)! অত্যন্ত সংক্রামকৃত নোবেল করোনভাইরাস বা COVID-19-এর সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী লকডাউন চলছে, নিষিদ্ধ জমায়েত। মঙ্গলবার সকালে ১০১ দিন পর খালি করে দেওয়া হল দিল্লির শাহিনবাগ। শুধু দিল্লি নয়, সারা দেশেই বহু স্থানে শাহিনবাগের অনুপ্রেরণায় জমায়েত চালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সকাল ৭ টা নাগাদ প্রতিবাদের স্থলে পৌঁছয় পুলিশ। একজন কর্মকর্তা বলেন, “বারবার বলার পরেও তারা বিক্ষোভের জায়গা ছেড়ে যাচ্ছিলেন না। তারা জমায়েত তুলে নিতে অস্বীকার করলে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তাদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়।” ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে ১৪৪ ধারা চলছে যাতে বৃহত্তর সমাবেশকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছয় মহিলা ও তিন পুরুষসহ নয় জনকে আটক করা হয়েছে।

“নাগরিকদের সহায়তায় বিক্ষোভের জায়গাটি পরিষ্কার করা হবে,” জানান তিনি। শহরের অন্যান্য অংশে যেমন জাফরাবাদ (উত্তর-পূর্ব দিল্লি) এবং তুর্কমান গেটে (পুরনো দিল্লি) সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদেরও আজ সকালে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ আরোপের অংশ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই শহরে লকডাউইন ঘোষণা দেওয়ার দু'দিন পরে খালি করা হ'ল শাহিনবাগ। জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে একটি মৃত্যু সহ ৩০ জনেরও বেশি করোনভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহন, সিল করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সীমানা এবং দোকানপাটও বন্ধ। কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় পরিষেবার অনুমতি রয়েছে। ভারতজুড়ে নয়জনের মৃত্যু সহ ৪৭০ টিরও বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা হয়েছে। তিরিশটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সম্পূর্ণ লকডাউন।

গত সপ্তাহে, দিল্লি পুলিশ শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের, যাদের বেশিরভাগ মহিলা, তাদের এই আন্দোলন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এখানে জমায়েত শুরু করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা, তারা এই অনুরোধে রাজি হননি। বিক্ষোভকারীরা বলেছিলেন, “প্রয়োজনীয় সাবধানতা” রেখেই এই বৈঠক অব্যাহত থাকবে।

শাহিনবাগের প্রতিবাদ গত কয়েক মাস ধরেই আন্তর্জাতিক শিরোনামে। শাহিনবাগের দাদি নামে পরিচিত এই মহিলারা ‘মুসলিম বিরোধী' আইন বলে আখ্যায়িত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধকের (এনপিআর) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছেন।

.