This Article is From Feb 16, 2020

ফিরে এলেন অমিত শাহের বাড়ির দিকে যাত্রা করা শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা

যদিও মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ, বিক্ষোভকারীদের থামাতে ৫০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে তারা

ফিরে এলেন অমিত শাহের বাড়ির দিকে যাত্রা করা শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে শাহিনবাগ

নয়াদিল্লি:

প্রায় দুমাস ধরে শাহিনবাগে (Delhi's Shaheen Bagh) চলছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, আজ সেখান থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলেন তাঁরা। বিতর্কিত এই আইনটি নিয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করলেন শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা। যদিও মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ, বিক্ষোভকারীদের থামাতে ৫০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে তারা। পুলিশের এক  পদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, “আমরা বিক্ষোভকারীদের জিজ্ঞেস  করেছিলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে আসা প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন, যাতে আমরা পরিকল্পনা করতে পারি। যদিও জানানো হয়, তাঁরা সবাই যাবেন। আমরা তা খারিজ করে দিই, তবে দেখছি আমরা কী করতে পারি”।

বৃহস্পতিবার টাইম নাও এর সামিটে প্রকাশ্যে শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন অমিত শাহ, তারপরেই তাঁরা আলোচনায় বসতে রাজি হন।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সন্দেহ থাকা যে কেউই তাঁর সময় নিতে পারেন এবং আগামী তিনদিনের মধ্যে তিনি তাঁরা সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

তবে প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি নন মহিলারা।  ৭৬ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী NDTV কে বলেন, “এখানকার সবাইকে নিয়ে আমরা অমিত শাহের বাড়ির দিকে যাব। সবার সামনে আমরা কথা বলব।  আমরা তাঁর থেকে লিখিত চাইব যে, এনআরসি এবং সিএএ প্রত্যাহার করা হবে”।

গত দুমাস ধরে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে শাহিনবাগ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে শাহিনবাগ ইস্যু তুলে ধরেছিল বিজেপি, তাকে কেন্দ্র করে ঘৃণার মন্তব্য করছিলেন নেতারা।

অনেক বিজেপি নেতাই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের তাঁরা “জঙ্গি” এবং “দেশদ্রোহী” মনে করছেন এবং জনতার সামনে তাঁদের “গুলি করে মারার” নিদান দেন।

বৃহস্পতিবার অমিত শাহ স্বীকার করেন, এই ধরণের ঘৃণার মন্তব্য করা উচিত হয়নি এবং স্বীকার করেন, যে তাতে দলের ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। এবারের দিল্লি বিধানসবা নির্বাচনে প্রচারে নেমেছিলেন ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তবে মাত্র ৮টি আসনে জিতত সক্ষম হয়েছে বিজেপি।

.