আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শরদ পাওয়ারের(Sharad Pawar), তিনি জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ব্যস্ততা শুরু হওয়ার আগেই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) দফতরে হাজিরা দেবেন তিনি। শুক্রবার তিনি ইডির (ED) দফতরে যেতে পারেন বলে জানিয়ে দিয়ে, বর্ষীয়ান এনসিপি (NCP) নেতা বলেন, “তাঁদের ভাবা উচিত নয় যে, আমায় পাওয়া যাবে না”। এদিন সকালে এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, আগে তিনি কখনও জেলে যাননি, ফলে জেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হলে, তিনি “আনন্দিত” হবেন, পাশাপাশি বলেন, পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, “শিবাজীর মতোই দিল্লির কাছে মাথা নত করবে মহারাষ্ট্র”।
চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর একমাস বাকি, সেই সময়ে, মামলাটি তোলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শরদ পাওযার। তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আমার সফরে, যেভাবে সাড়া পেয়েছি, তারপরেও, আমার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার আমি অবাক হয়েছিলাম”। বিজেপি-শিবসেনা জোটের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এনসিপি নেতা।
গত সপ্তাহে একটি নির্বাচনী প্রচারসভায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শরদ পাওয়ার, তিনি মহারাষ্ট্রের জন্য কী করেছিলেন, তা নিয়ে শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া একটি মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শরদ পাওয়ার বলেন, “তাঁদের দলের এক নেতা বলেছেন, শরদ পাওয়ার কী করেছে। আমি একটা কথা বলতে চাই, ভাল, মন্দ, তিনি যা করেছেন, তার জন্য কোনওদিন জেলে যেতে হয়নি। বেশ কয়েকমাস ধরে যাঁরা জেলে কাটিয়েছেন, তারা প্রশ্ন তুলছেন, আমি কী করেছি”।
পি চিদাম্বরমকে তিহার জেলে দেখতে গেলেন ছেলে কার্তি ও দুই কংগ্রেস নেতা
সকালেই এনসিপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, “যদি জেলে যেতে হয়, তা নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি আনন্দিত হব, কারণ, আমার এই অভিজ্ঞতা নেই। কেউ যদি আমায় জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করে, তাকে স্বাগত জানাই”।
মহারাষ্ট্র রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের ঋণ সংক্রান্ত ২৫,০০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে এই প্রবীণ নেতার। তবে অভিযুক্ত হিসেবে তাঁর নাম নেই। নাম উঠেছে তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারেরও।
ব্যাঙ্কটির চলার সঙ্গে যুক্ত এসিপি নেতৃ্ত্বের একটা বড় অংশ, তাঁদের মধ্যে নেই শরদ পাওয়ার। এর আগে, যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন, সেই ব্যাঙ্কের মামলায় তাঁর নাম জড়ানোয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে “ধন্যবাদ” জানান এনসিপি সুপ্রিমো।
যে মামলাটি হয়েছে, সেটি, মহারাষ্ট্রের কটন মিল এবং চিনি কারখানার জন্য ঋণ অনুমোদন করার ক্ষেত্রে, ব্যাঙ্কিং আইন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন ভঙ্গ করার অভিযোগ। যাঁরা ঋণ অনুমোদন করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে মিল মালিকদের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠছে।
দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশেরপরেই, গতমাসে একটি মামলা রুজু করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। পরে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সম্ভাব্য আর্থিক তছরূপের তদন্ত শুরু করে।