এনসিপি-র প্রধান দলীয় কর্মীদের আরএসএসের মতো করে প্রচার করার নিদান দিলেন।
হাইলাইটস
- দলীয় কর্মীদের আরএসএসের থেকে প্রচারের কৌশল শিখতে বলেলন শরদ
- মানুষের কাছে পৌঁছে যান সেটাই নির্বাচনে জয়ের অন্যতম প্রধান উপায়ঃশরদ
- দলীয় কর্মীদের সামনে এই বক্তব্য পেশ করেন এনসিপি প্রধান
মুম্বাই: ভোটারদের সামনে নিজেদের ভালোভাবে উপস্থাপন করতে না পারার জন্য বিজেপির কাছে হাস্যকর পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়েছে বলে জানালেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (NCP Chief Sharad Pawar ) । তিনি বলেন নির্বাচনে সাফল্য পেতে রাজনৈতিক কর্মীদের উচিত আরএসএসের (RSS) মতো প্রচার করা। আরএসএস কর্মীরা যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে যান সেটাই নির্বাচনে জয়ের অন্যতম প্রধান উপায় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ দলীয় কর্মীদের উচিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন (Maharashtra Assembly Elections) এখনও কিছুদিন বাকি রয়েছে। কিন্তু এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। যদি সেটা করা যায় তাহলে ভোটের সময় কারো বাড়ি গেলে তিনি বলবেন না শুধু ভোটের সময় কেন আসেন?' পুনের একাধিক বিধানসভা এলাকায় দলীয় কর্মীদের সামনে এনসিপি প্রধানের (NCP Chief) এই বক্তব্য তুলে ধরেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
জয়ে ফিরতে রেড্ডিকে বিপুল জয় এনে দেওয়া প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরলেন মমতা
তিনি বলেন, ‘আপনাদের উচিত আরএসএসের গতিবিধি অনুসরণ করা। ওঁরা কীভাবে কাজ করেন সেটা লক্ষ্য করুন। আরএসএসের কর্মীরা কোনও বাড়ি গিয়ে যদি দেখেন সেখানে তালা লাগানো আছে তাহলে তাঁরা বারবার ফিরে আসেন। যতক্ষণ না নিজেদের বক্তব্য ওই বাড়ির বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত হাল ছাড়েন না। আপনাদেরও এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে। ওরা জানে কীভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখতে হবে। সেটাও শিখতে হবে আপনাদের।'
বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং এনসিপি জোট করেছিল। ১৯ আসনে লড়াই করে মাত্র চারটি পেয়েছে এনসিপি। ২৫টি আসনে প্রার্থী দিয়ে একটিতে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের মোট ৪৮ টির মধ্যে ৪১ টি আসনেই জিতেছে শিবসেনা-বিজেপি জোট। এ বছরের শেষের দিকে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন থেকেই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার কাজ শুরু করেছেন শরদ। মাস চারেক বাদে ওই নির্বাচন হতে পারে।
বিজেপির বিজয় মিছিলে ‘না' রাজ্য প্রশাসনের
পাঁচ বছর আগে ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১২২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তাদের জোট শরিক শিবসেনা পেয়েছিল ৬৩ টি আসন। কংগ্রেস এবং এনসিপি পেয়েছিল যথাক্রমে ৪২ এবং ৪১ টি আসন জেতে। এরপর লোকসভা নির্বাচনেও হার হয়েছে বিরোধী জোটের। এমতাবস্থায় আরও একবার মহারাষ্ট্রে সরকার করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।
শুধু নির্বাচনে বিপর্যয় নয় মহারাষ্ট্রে বিরোধী শিবিরে বিশেষ করে কংগ্রেসের অন্দরে পরিস্থিতিও যথেষ্ট ঘোলাটে। দলের প্রবীণ নেতা রাধাকৃষ্ণ পাতিল ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। সংবাদমাধ্যমে খবর ১০ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা। এরকমই অস্বস্তির খবর রয়েছে বিরোধী শিবিরে। এরই মাঝে কংগ্রেসের অন্যতম শরিক দল এনসিপি-র প্রধান দলীয় কর্মীদের আরএসএসের মতো করে প্রচার করার নিদান দিলেন।