নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং এনসিপি
নয়াদিল্লি: বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (NPR) নিয়ে মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের পক্ষে তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার শিবসেনার তরফে বিতর্কিত এই আইনটি, এবং এনপিআর কে সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও বিপদ নেই এবং সেরাজ্যে এনপিআর আটকাবেন না তিনি। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপির মতো আদর্শগতভাবে ভিন্ন দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শরদ পাওয়ার। এদিন শিবসেনার অবস্থান খারিজ করে দিয়েছেন তিনি, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে সহমতে পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ।
সিন্ধুদুর্গে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময়, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী আলাদা, এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীও আলাদা। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হলে কারও চিন্তার কোনও কারণ নেই”।
তদন্ত করবে এনআইএ, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্র
তিনি বলেন, “এনআরসি নেই, এবং রাজ্যে কার্যকর হবে না...এখনও পর্যন্ত এনআরসি নিয়ে আলোটনা করেনি কেন্দ্র”, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যদি এনআরসি কার্যকর হয়, তাহলে শুধুমাত্র হিন্দু বা মুসলিমদেরই নয়, তা প্রভাব পড়বে আদিবাসীদের ওপরেও।
নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী এবং জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর বিরোধী কংগ্রেস এবং এনসিপি। নাগরিকত্ব আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ করা হয়েছে, কংগ্রেস ও এনসিপির দাবি, তারসঙ্গে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর যু্ক্তিতে যে এনআরসি করা হচ্ছে, তা আসলে মুসলিমদের টার্গেট করার জন্যই করা হচ্ছে।
অভিযোগ করা বন্ধ করুন, কংগ্রেস- এনসিপি নেতাদের সতর্ক করলেন প্রাক্তন সাংসদ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, দেশজুড়ে এনআরসি করা নিয়ে আশ্বাসবাণীও খারিজ করে দিয়েছে তারা, তাদের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিপরীত কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শুধুমাত্র বিভিন্ন মঞ্চ থেকেই নয়, সংসদেও দেশজুড়ে এনআরসি করার কথা বলেছিলেন অমিত শাহ, দাবি কংগ্রেস ও এনসিপির।
জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী বা এনপিআরও নিয়েও জটিলতা রয়েছে। একে এনআরসির প্রথম ধাপ বলে মন্তব্য করেছে বিরোধীরা, এবং তা কার্যকর না করার পদক্ষেপ করেছে বেশিরভাগই কংগ্রেস শাসিত রাজ্য, একে “জনগণনা” বলে মন্তব্য করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “এনপিআর হল জনগণনা, আমি মনে করি না যে, প্রতি ১০ বছর পর এটা কার্যকর করা হলে কারও ক্ষতি হবে”।
সিএএএ-বিক্ষোভের বিরোধিতায় রাষ্ট্রপতিকে চিঠি প্রাক্তন বিচারপতি, সেনা আধিকারিকদের
এই পরিস্থিতিতে, শিবসেনার অবস্থান, দুই দলের কাছেই মুখ নষ্ট করা। নাগরিকত্ব আইনের ক্ষেত্রে লোকসভায় বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছিল তারা এবং রাজ্যসভায় অনুপস্থিত ছিল।
শরদ পাওয়ার বলেন, “আমরা এর আগেও এর বিরোধিতা করেছি। আমরা রাজ্যসভাতেও এর বিরোধিতা করেছি”। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, তিন দল একটি কমন মিনিমাম প্রোগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং এখনকার জন্য, মহারাষ্ট্রে স্থিতাবস্থা বেশি জরুরি।