বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন Sharad Pawar
নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) অচলাবস্থার মধ্যেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হচ্ছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। জানা গেছে, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে (Narendra Modi) মহারাষ্ট্রের কৃষকদের সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করবেন এনসিপি প্রধান (Sharad Pawar)। গত মাসেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন হলেও তাঁর ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে এখনও সে রাজ্যে সরকার গঠন করতে সমর্থ হয়নি কোনও দলই। সে রাজ্যে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সংসদ ভবনেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন শরদ পাওয়ার। এনসিপি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসতে পারে এমন সম্ভাবনার মধ্যেই রাজ্যের কৃষকদের চাওয়া-পাওয়া এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাওয়ারের এই বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে বুধবার সন্ধেতেই শিবসেনার সঙ্গে মহারাষ্ট্রে জোট গঠন করে সরকার গড়ার বিষয়ে কথা বলতে এক বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা। মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনা জোট বেঁধে লড়লেও, পরে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় শিবসেনার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বিজেপির। ফলে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে অসম্মত হয় বিজেপি। এরপরেই এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সে রাজ্যে সরকার গড়তে উদ্যোগী হয় উদ্ধব ঠাকরের দল।
বিজেপি ৫০-৫০ চুক্তির প্রস্তাব দিলে, জোট ফিরে পেয়ে খুশি হব, জানাল শিবসেনা সূত্র
সোমবার রাজ্যসভার আড়াইশোতম অধিবেশন উপলক্ষে বিতর্ক চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদি দরাজ গলায় ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ও বিজু জনতা দলের প্রশংসা করেন। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
"আজ, আমি দুটি দল, এনসিপি এবং বিজেডি (নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল )কে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই কেননা এই দলগুলি আশ্চর্যজনকভাবে সংসদীয় নীতিগুলি মেনে চলেছে। তারা কখনও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাননি (প্রতিবাদ করার জন্য) তবুও, তাঁরা অত্যন্ত কার্যকরভাবে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আমার দল সহ প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই উচিত তাঁদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া", বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কথায় কথায় সাংসদদের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর বিষয়ে সাংসদদের সমালোচনা করে ওই কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।
শরদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন যে তিনিই (শরদ পাওয়ার) রাজ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেই তাঁকে "কৃষক সংকট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার" জন্যে রাজ্যের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
‘‘কেউ যখন বিজেপির পাশে ছিল না, আমরা ছিলাম'': শিবসেনা
সঞ্জয় রাউত বলেন, "যদি উদ্ধব ঠাকরে দিল্লিতে আসেন এবং আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করি তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই খিচুড়ি পাকাবেন (আপনারা কী কী জল্পনা কল্পনা করবেন)? মূলত মহারাষ্ট্র সম্পর্কে কথা বলতেই অনেক সাংসদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন"।
শিবসেনা সূত্র বলছে, এনসিপি ও কংগ্রেসকে নিয়ে সরকার গঠনের পথে তাঁরা অনেকদূর এগিয়ে রয়েছে। সঞ্জয় রাউত মঙ্গলবার বলেন যে "ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই" মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় বসবে।