தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jul 08, 2018

ফের ভারতীয় খুন আমেরিকায়, আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হল তেলেঙ্গানার যুবকের

আমেরিকায় ফের খুন ভারতীয় ! ঘটনাস্থল সেই  ক্যানসাস সিটি।  গত বছর জানুয়ারি মাসে এখানেই আততায়ীর গুলিতে খুন  হন শ্রীনিবাস কুচিভোটলা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Posted by

Highlights

  • ক্যানসাস সিটির রেস্তোরায় গুলিতে খুব ভারতীয় ছাত্র
  • এ বছরই উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে জান শারাথ কাপ্পু
  • সন্দেহভাজনকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের
কান্সাস সিটি/হায়দ্রাবাদ:

আমেরিকায় ফের খুন ভারতীয় ! ঘটনাস্থল সেই  ক্যানসাস সিটি।  গত বছর জানুয়ারি মাসে এখানেই আততায়ীর গুলিতে খুন  হন শ্রীনিবাস কুচিভোটলা।  আর এবার মৃত্যু হল  বছর পঁচিশের ছাত্র তেলেঙ্গানার বাসিন্দা শারাথ কোপপুর।  পড়াশুনো চালানোর জন্য রেঁস্তোরায় কাজ করতেন তিনি। আর সেখানেই তাকে গুলি করে খুন করা হল।  ঘটনার পর শনিবার স্থানীয় পুলিশ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে। তাতে সাদা জামা পরিহিত এক ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের অনুমান খুন করেছে ওই ব্যক্তিই  । তার হাতে থাকা তোয়ালের মধ্যেই বন্দুক লুকিয়ে রেঁস্তোরায় প্রবেশ করে সে।  আর তার পরেই মৃত্যু হয় শারাথের।  

  .  

কী কারণে এই হামলা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে  স্থানীয় পুলিশ মনে করছে লুঠের উদ্দেশেই  ঘটেছে এমনটা।  তবে এর নেপথ্যে জাতি বিদ্বেষ বা ওই জাতীয় কোনও কারণ ছিল না তা এখনও স্পষ্ট নয়।  আততায়ীর সন্ধানে শুরু হয়েছে পুলিশি তল্লাশি। তার বিষয়ে তথ্য জানাতে পারলে 10,000 ডলার পুরস্কারও দেবে স্থানীয প্রশাসন।   816-234-5043 এবং   816-474-8477- এই দুটি নম্বরে ফোন করে দেওয়া যাবে তথ্য।  প্রতক্ষ্যদর্শীরা এনডিটিভিকে  জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে ঢুকতে দেখে প্রায় সকলেই আত্মগোপন করেন ।  কিন্ত তিনি সেই পথে না হেঁটে পালাবার চেষ্টা করেন।  আর তখনই রেঁস্তোরার পেছন দিকে তাকে গুলি করা খুন করা হয়।  এই বক্তব্যের মধ্যে কতটা সত্যতা  তা জানার কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। গত কয়েক বছরে একের পর এক ভারতীয় খুন হয়েছেন আমেরিকার মাটিতে।  প্রায় সব ক্ষেত্রেই উঠে এসেছে বিদ্বেষের তত্ব।  মাত্র বছর খানেক এই ক্যানসাসে নিহত শ্রীনিবাসের মৃত্যুতেও উঠে আসে সেরকমই একটি তত্ব। এই ঘটনায় অবশ্য তেমন কোনও তথ্য  এখনও হাতে আসেনি।  

 

শারাথের বড় হওয়া বড় হওয়া তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল জেলায়।  সেখানেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথ শেষ করে চাকরি করতেন। সেটি ছেড়ে এবছরই  আমেরিকায় যান উচ্চশিক্ষার  জন্য। তাঁর মৃত্যতে গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ।  তারা তেলেঙ্গানার এনআরআই মন্ত্রী কে টি রাম রাওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।  দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ায় শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছেন কে টি।                  

বিপদের দিনে  পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন  আত্মীয়রা। আর্থিক সাহায্যের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ ফান্ড।  এ যাবৎ বেশ কিছু টাকাও উঠেছে। ছোট থেকেই মিশুকে  ছিলেন শারাথ। পরিবারের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতাও ছিল প্রশ্নাতীত। আর তাই উচ্চ শিক্ষক জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। কিন্ত আর ফেরা হবে না শারাথের।  ফিরবে কফিনববন্দি দেহ। 

Advertisement