শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে দিল্লিতে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়
হাইলাইটস
- দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক-ছাত্র
- বিহারের জেহনাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ
- দেশ থেকে অসম সহ দেশের বেশ কিছু জায়গাকে পৃথক করার ডাক দেন ওই ছাত্র
নয়া দিল্লি/পাটনা: বিহারের জেহনাবাদ থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-ছাত্র শারজিল ইমামকে। তিনি (Sharjeel Imam) দেশ বিরোধী উস্কানিমূলক বেশ কিছু কথা প্রচার করছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে আগেই মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। ভারতবর্ষ থেকে অসম সহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানান শারজিল, এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়। শুধু অসমই নয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যকেও দেশের মূল অংশ থেকে আলাদা করার বিষয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। জেএনইউয়ের ওই ছাত্র (JNU Student Sharjeel Imam Arrested) সিএএ বিরোধী প্রচার (Anti-CAA Protest) করার সময় একটি ভিডিওতে বলেন, ‘আমাদের কাছে যদি মানুষের সমর্থন থাকে তাহলেই আমরা ভারত থেকে অসমকে পাকাপাকি ভাবে আলাদা করতে পারি। স্থায়ী ভাবে না হলেও, এক দু'মাসের জন্যে অন্তত আমরা অসমকে ভারতের থেকে আলাদা করতেই পারি। দরকার হলে রেললাইনে এত আবর্জনার স্তূপ ফেলো, যাতে তা পরিষ্কার করতেই এক মাস সময় লেগে যায়। কেউ সেখান থেকে বাইরে যেতে চাইলে বায়ুসেনার সাহায্য নিয়ে যাক। অসমকে ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করা আমাদের দায়িত্ব।”
"ঐতিহাসিক অবিচারকে সংশোধন করতেই CAA আনা হয়েছে", বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
সোমবার সন্ধে থেকেই শারজিলের সন্ধানে মুম্বই, পাটনা এবং দিল্লিতে একযোগে সন্ধান চালাচ্ছিল দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার পাঁচটি দল। দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে যে ওই গবেষক-ছাত্র দুটি অনুষ্ঠানে উস্কানিমূলক ভাষণ দেন। গত ডিসেম্বরে যখন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ চলছিল সেই সময় একবার প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখেন তিনি। পরে আবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমাবেশেও একই ধরণের দেশ-বিরোধী বার্তা দিতে শোনা যায় জেএনইউয়ের ওই ছাত্রকে।
শারজিল ইমাম দিল্লির শাহিনবাগে বর্তমানে যে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে তারও অন্যতম আয়োজক। যদিও শাহিনবাগের অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করেননি।
CAA-বিরোধী প্রস্তাবকে "অনুপযুক্ত" বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে লিখলেন লোকসভার স্পিকার
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া শুধুমাত্র অ-মুসলিম শরণার্থীদেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও এই আইনটি পাস হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। বিরোধীদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। দেশের বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রকে এই আইন প্রত্যাহার করার কথাও বলেছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।