শর্মিষ্ঠা মুখার্জির ফাইল ছবি
নিউ দিল্লী:
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জীর কন্যা এবং কংগ্রেস নেতা শর্মিষ্ঠা মুখার্জি বলেছিলেন যে, যে বিষয়ে তাঁর ভয় ছিল, শেষ পর্যন্ত সেটাই হল, তাঁর পিতাকে তিনি বারংবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি তাঁর কোনো কথা শোনেন নি। তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর ভয় ছিল, এটা বিজেপি / আরএসএস এর 'একটা ঘৃণ্য চাল', আর সেটাই সত্যি বলে প্রমাণিত হল। তিনি বলেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার কারসাজির জন্য একটা ছবি দেখে এটাই মনে হচ্ছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরএসএস-এর নেতা এবং কর্মীদের মত অভিবাদন করছেন। শর্মিলা মুখার্জী রুচি শর্মা এর একটি টুইটকে রিটুইট করেছেন যেখানে দুটি ছবি আছে।তার মধ্যে একটিতে শ্রী প্রণব মুখার্জিকে সঙ্ঘের কালো টুপি মাথায় দেখা যাচ্ছে।
শর্মিষ্ঠা মুখার্জি তাঁর বাবাকে আরএসএস-এর সভায় যোগদান করতে নিষেধ করেছিলেন, বুধবার তিনি একটি টুইট করে নিজের মতামত প্ৰকাশ করেন।
অন্যদিকে কংগ্রেস জানিয়েছে যে, আরএসএস-এর সভায় শ্রী প্রণব মুখার্জির ছবি দেখে পার্টির লক্ষ্যাধিক কর্মী এবং যারা বিশ্বাস করেন যে ভারত বৈচিত্রের মধ্যেও ঐক্য, তাদের আবেগ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে কংগ্রেস পার্টি আরএসএস-এর সম্পর্কে জানিয়েছে যে,''ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আরএসএস তাতে অংশ গ্রহণ করেনি।ব্রিটিশ আমলে তারা ঔপনিবেশিক শক্তির অধীনেই নিজেদের জীবন কাটিয়েছে।1930 সালে যখন গান্ধীজি লবন-সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন তখন হেডগেওয়ার বলেছিলেন যে, সঙ্ঘের এই আন্দোলনের সাথে কোনো রকম সম্পর্ক নেই।'' পার্টির তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, ''আরএসএস আগে কোনো দিন তিরঙ্গার সম্মান করেনি, বর্তমানে তাদের ভারতমাতা নিয়ে এত মাতামাতি করতে দেখা যাচ্ছে।'', কংগ্রেস আরো বলেছে যে, ''গান্ধীজিকে যখন হত্যা করা হয়েছিল তখন আরএসএস-এর লোকেরা আনন্দ করেছিল, মিষ্টি বিতরণ করেছিল।বিনায়ক দামোদর সাওয়ারকর ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল এবং তিনি তাদের ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছিল।জেলে থাকার সময় সে বহুবার দয়া ভিক্ষা করেছে।''
ন্যদিকে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা সহ শ্রী মুখার্জির কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখার্জি তাঁর আরএসএস-এর সভায় যাওয়া নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন তুলেছেন।পার্টির অভিষেক সিঙ্ঘভি বলেছেন যে, ''প্রণব দা সভায় গেছেন, সেটা কোনো সমস্যা নয়,কিন্তু তিনি সভায় দাঁড়িয়ে যে কথা গুলি বলেছন , সেগুলি অবশ্যই বিশ্লেষণ করে দেখা জরুরি।''
VIDEO:প্রণব মুখার্জি সংঘের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ঘৃণা-অসহিষ্ণুতা শুধুমাত্র ভাঙন ঘটায়