টুইটটি এরই মঝ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ লাইক করে ফেলেছেন।
নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। শনিবার তিনি একটি ছবি পোস্ট করলেন যেখানে তাঁকে কিংবদন্তি কবি ও নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়রের (William Shakespeare) রূপান্তরিত অবতারে দেখা যাচ্ছে। তিনি পোস্টে লিখে দেন ‘‘সবচেয়ে আত্মতৃপ্তিকর ছবি''। ৬৩ বছরের প্রাক্তন কূটনীতিক সোশ্যাল মিডিয়াকে চমকে দেন তাঁর ভাষাগত দক্ষতায়। এবারের ছবিটির সঙ্গে তিনি লিখে দেন তিনি ‘‘এই সম্মানের অযোগ্য''। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘আজ এই আত্মতৃপ্তিকর ছবিটি হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভেবে চমৎকৃত হচ্ছি কেউ আমাকে শেক্সপিয়র করে তুলতে চেয়েছেন। এবং তারপরই এটা তৈরি করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটিয়ে ফেলেছেন। যিনিই এটা করে থাকুন তাঁকে ধন্যবাদ (যদি আমি সম্পূর্ণতই এই সম্মানের অযোগ্য)।'' টুইটটি এরই মঝ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ লাইক করে ফেলেছেন।
Man vs Wild: বিপদেও মাথা ঠাণ্ডা প্রধানমন্ত্রীর', মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বেয়ার গ্রিলস
ইরেজি সাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় কবি ও নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়র চিরস্মরণীয় এক ব্যক্তিত্ব।
শশী থারুর তাঁর টুইটে এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন, অনেক সময়ই নেটিজেনদের ডিকশনারি খুলতে হয়। কেরলের তিরুবনন্তপুরমের তিনবারের সাংসদ তাঁর রসবোধের জন্য তিনি সুপরিচিত।
গত বছর টুইটারে তাঁকে অবমাননা করা হচ্ছে এইকথা জানিয়ে তিনি সেই সমালোচকদের সম্পর্কে ‘লালোচেজিয়া' শব্দটি ব্যবহার করেন। এর অর্থ নিজের চাপ ও কষ্ট কমাতে নোংরা ভাষা ব্যবহার করা।
তিনি লেখেন, ‘‘প্রতিদিন আমাকে সম্মুখীন হতে হয় টুইটারের এমন লোকজনের যাঁদের লালোচেজিয়া রয়েছে। আর তাঁরা তাঁদের ভোগান্তির কারণে আমাকে আক্রমণ করেন এবং তাঁদেরও যাঁরা আমার বিশ্বাসকে সমর্থন করেন।'' সেই সঙ্গে তিনি ‘লালোচেজিয়া'-র আভিধানিক অর্থও তিনি সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন। যাঁরা শব্দটি জানেন না, তাঁরা যাতে বুঝে নিতে পারেন।
অন্য একটি পোস্টে তিনি ব্যবহার করেন এমন একটি শব্দ যাতে রয়েছে ২৯টি অক্ষর। শব্দটি হল ‘ফ্লকসিনাসিনিহিলিফিলিফিকেশন'। সত্যজিৎ রায়ের ‘আগন্তুক' ছবিতে উৎপল দত্তর মুখেও এই শব্দটি শোনা গিয়েছিল। নিজের বই ‘দ্য প্যারাডক্সিকাল প্রাইম মিনিস্টার' প্রসঙ্গে ওই শব্দ ব্যবহার করেন শশী।
তিনি লেখেন, ‘‘আমার নতুন বই ‘দ্য প্যারাডক্সিকাল প্রাইম মিনিস্টার' ৪০০ পাতারও বেশি জায়গা জুড়ে ফ্লকসিনাসিনিহিলিফিলিফিকেশন-এর অনুশীলন।'' সেই সঙ্গে ওই বিরাট শব্দটির বিস্তৃত ব্যাখ্যাও করেন তিনি।
রাজনৈতিক জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেন— এমনটাই লেখা তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সেই সঙ্গে একথাও জানানো হয়, ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাঁকেই ভারতের রাজনীতিবিদদের মধ্যে টুইটারে সবচেয়ে বেশি ফলো করা হত। এরপর সেই জায়গায় আসেন নরেন্দ্র মোদি।