This Article is From Aug 10, 2018

মুসলমানকে বিয়ে করেছিলেন! হিন্দু মহিলার শ্রাদ্ধ হল না মন্দিরে

কলকাতার বাসিন্দা ইমিতিয়াজ রহমান এবং নিবেদিতা ঘটক দুদশক আগে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুসারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

মুসলমানকে বিয়ে করেছিলেন! হিন্দু মহিলার শ্রাদ্ধ হল না মন্দিরে

দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের কালী মন্দির সোসাইটির ঘটনা

নিউ দিল্লি:

একসঙ্গে  কুড়ি বছর সংসার করার পর মৃত্যু হল স্ত্রীয়ের। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল সমস্ত রীতি নীতি মেনে মন্দিরে হোক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। মৃত স্ত্রীয়ের এই ইচ্ছা পূরণ করতে যা যা দরকার সবই করেছেন স্বামী। কিন্তু কাজের কাজ হল না তাও। মন্দিরের তরফে বলা হল মুসলমানকে বিয়ে করেছিলেন বলে তিনি আর হিন্দু নন, তাই আর যাই হোক মন্দিরে তাঁর শ্রাদ্ধ করা যাবে না! দেশের কোনও প্রত্যন্ত এলাকা নয় এমন ঘটনা ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতে।              

কলকাতার বাসিন্দা ইমিতিয়াজ রহমান এবং নিবেদিতা ঘটক দুদশক আগে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুসারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কমার্শিয়াল ট্যাক্স বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ইমতিয়াজকে বিয়ে করার পরও সারাজীবন ‘প্র্যাকটিসিং হিন্দু’  থেকেছেন নিবেদিতা। স্ত্রীকে উৎসাহ জুগিয়ে এসেছেন স্বামীও। কিন্তু মিলে মিশে বেঁচে থাকার পর্ব শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। দীর্ঘ অসুস্থতার পর মৃত্যু হয় স্ত্রীয়ের। চিকিৎসার জন্য দিল্লিতেই ছিল পরিবার। সেখানেই নিগম বোধ ঘাটে শেষকৃত্য হয় নিবেদিতার। তারপর চিত্তরঞ্জন পার্কের কালী মন্দির সোসাইটির সঙ্গে  যোগাযোগ করেন স্বামী। 1,300 টাকা খরচ করে 12 অগাস্ট শ্রাদ্ধ করার জন্য জায়গাও বুক করেন।  সেটা 6 তারিখের ঘটনা। কিন্তু আচমকাই  মন্দিরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি জরুরি কারণে বুকিং বাতিল করতে হচ্ছে।

কিন্তু কেন? সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে মন্দির সোসাইটির সভাপতি অস্তিত্ব ভৌমিক বলেছেন ইমিতিয়াজকে তাঁর গোত্রের ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি।  আর তাই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় বাতিলই যদি করা হবে তাহলে অনুমতি দেওয়া হল কেন? সভাপতির জবাব ইমতিয়াজ প্রথমে নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রাখেন। মেয়ের নামে বুকিং করেছিলেন। তা দেখে ধর্মীয় পরিচয় বোঝার উপায় ছিল না বলেই দেওয়া হয়েছিল অনুমতি।

শ্রাদ্ধ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত  যে ‘যথার্থ’ তা বোঝাতে তিনি বলেন, ‘মুসলমানকে বিয়ে করার পর আর কেউ হিন্দু থাকেন না!’ শুধু এটা নয় মন্দির মনে করে  শ্রাদ্ধের দিন ইমিতিয়াজের আত্মীয়রা এখানে আসবেন। তাঁরা যদি নামাজ পড়তে শুরু করেন তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। তাই তিনি মনে করেন ইমতিয়াজের উচিত কলকাতায় ফিরে গিয়ে নিজের বাড়িতে শ্রাদ্ধ করা। কিন্তু এই ‘সমাধান’ মেনে নিতে পারছেন না স্বামী! কী করবেন তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি তিনি!           

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.