Read in English
This Article is From Jan 19, 2020

CAA অপ্রয়োজনীয় কিন্তু এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ বরাবর মেনে এসেছে CAA আর NRC ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমনকী সরকারি ভাবে ভারত সরকার এনআরসি'র রূপায়ণ অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেই করেছে

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by (with inputs from PTI)

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী Sheikh Hasina

নিউ দিল্লি/ ঢাকা:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) "অপ্রয়োজনীয়"। গাল্ফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে আইনি (CAA-NRC) এই প্রক্রিয়া ভারতের "অভ্যন্তরীণ ইস্যু" বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, "আমি বুঝতে পারছি না এটা (ভারত সরকার) কেন করেছে? এটার প্রয়োজন ছিল না।" তিনি (Bangladesh PM) বলেছেন, বাংলাদেশ বরাবর মেনে এসেছে সিএএ আর এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমনকী সরকারি ভাবে ভারত সরকার এনআরসি'র রূপায়ণ অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেই করেছে।গত অক্টোবরে আমি যখন দিল্লি সফরে গিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) আমাকে একই আশ্বাস  দিয়েছেন।

এমনকী, "তাঁর দেশে কোনও নথিভুক্ত উদ্বাস্তু নেই।" গাল্ফ নিউজকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন শেখ হাসিনা।জানা গেছে ১৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশে, ১০.৭% সংখ্যালঘু হিন্দু। এর বাইরে কোনও উদ্বাস্তু নেই। কিন্তু ভারত উদ্বাস্তু সমস্যার সম্মুখীন, গাল্ফ নিউজকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।     

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য তাঁর বিদেশ মন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের মন্তব্যকে সমর্থন করেছে।  চলতি মাসের প্রথমে ভারত সফরে এসে তিনি পিটিআইকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভারত, আমাদের এক নম্বর বন্ধু। ভারত সরকার আশ্বাস দিয়েছে  এনআরসি আর সিএএ, তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আইনি কিছু জটিলতা দূর করতে তারা এগুলোর রূপায়ণ করছে। কিন্তু আমার উদ্বেগ, ভারতে কোনও অস্থিরতা তৈরি হলে, সেটা পড়শি দেশেও প্রভাব ফেলবে। সেটাই উদ্বেগের। আমার আশা খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।এটা ভারতের বিষয়, আমাদের বিষয় নয়। ওরা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে। 

Advertisement

সরকারি তরফে দাবি করা হয়েছে, সিএএ নাগরিকত্ব দিতে রূপায়িত হবে। কারও নাগরিকত্ব কাড়বে না এই আইন। মুসলিম অধ্যুষিত তিন পড়শি রাষ্ট্র থেকে ভারতে আসা সংখ্যালগুদের নাগরিকত্ব দেবে সিএএ। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে ২০১৫-র আগে তাঁদের এদেশে আসতে হবে।

যদিও বিরোধীদের দাবি, এটা মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আর সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। এই সিএএ নিয়ে গত মাসে উত্তাল হয়েছিলো আসমুদ্র-হিমাচল। প্রতিটা মেট্রো শহরে ছড়িয়েছিল বিক্ষোভের আঁচ।  লখনউ, মীরাট, ম্যাঙ্গালুরুর মতো শহরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে রক্তও ঝরেছিল। অভিযোগ, এই আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর প্রদেশে সেই সংখ্যাটা বেশি।

Advertisement
Advertisement