শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণের (Sheila Dikshit dies) সংবাদ শুনে তিনি "বিধ্বস্ত" হয়ে পড়েছিলেন, রাজধানী দিল্লির ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে এমনভাবেই নিজের শোকবার্তা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। "শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণের খবর পেয়ে আমি বিধ্বস্ত বোধ করছি। কংগ্রেস দলের অত্যন্ত প্রিয় কন্যা ছিলেন তিনি। যাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সময় অত্যন্ত শোকের সময়, তাঁর পরিবার ও যাঁদের হয়ে তিনি ৩ বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন সেই দিল্লিবাসীর প্রতি আমি সহমর্মী", ট্যুইট করেন রাহুল।
কংগ্রেসের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়: “শ্রীমতি শীলা দীক্ষিতের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আদ্যোপান্ত কংগ্রেসের নেত্রী হিসাবে কাজ করে গেছেন তিনি এবং ৩ বার দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে সেখানকার ভোলবদল করে দেন তিনি। তাঁর পরিবার ও পরিজনদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রইল। আশা করি, শোকের এই সময় কাটানোর মতো শক্তি পাবেন তাঁরা”।
৮১ বছর বয়সে প্রয়াত ৩ বারের দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত
চলতি বছরের গোড়া থেকে দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পান শীলা দীক্ষিত। এবছরের লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লি কেন্দ্র থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি, কিন্তু বিজেপি প্রার্থী মনোজ তিওয়ারির কাছে হেরে যান ওই কংগ্রেস নেত্রী।
শীলা দীক্ষিতকে দিল্লির এসকর্টস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেল ৩টে ৫৫ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়।
শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদি থেকে মমতার, শোকপ্রকাশ রাহুল গান্ধিরও
১৯৮৪ সালে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন শীলা দীক্ষিত। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন শীলা।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক বিবৃততে জানানো হয়েছে যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। পাঞ্জাবের কাপূরথালাতে জন্ম নেওয়া শীলা দীক্ষিত সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতও একজন কংগ্রেস নেতা যিনি দিল্লির প্রাক্তন সাংসদও ছিলেন।