Read in English
This Article is From Dec 10, 2019

মোদিও বলেছিলেন পেঁয়াজ লকারে রাখা উচিৎ, অর্থমন্ত্রীও শিশুসুলভ উত্তর দিচ্ছেন: শিবসেনা

শিবসেনা তার দলীয় মুখপত্র সামনায় লিখেছে, “বর্তমানে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি তলানিতে। কিন্তু সরকার মানতে প্রস্তুত নয়। পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থমন্ত্রীও খুব শিশুসুলভ জবাব দিয়েছেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়াতেও কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে শিবসেনা

মুম্বই:

পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান দাম এবং ভগ্নপ্রায় অর্থনীতি নিয়ে মঙ্গলবার সরকারকে তুলোধনা করল শিবসেনা (Shiv Sena)। শিবসেনা তার দলীয় মুখপত্র সামনায় (Saamana) লিখেছে, “বর্তমানে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি তলানিতে। কিন্তু সরকার মানতে প্রস্তুত নয়। পেঁয়াজের দাম (prices of onion) প্রতি কেজি ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থমন্ত্রীও খুব শিশুসুলভ জবাব দিয়েছেন। তিনি বলছেন, আমি পেঁয়াজ-রসুন খান না, তাই আমাকে পেঁয়াজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর এই সমস্যা সমাধানের কোনও ইচ্ছাই নেই।” দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না, তিনিও পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বলেছিলেন যে পেঁয়াজ একটি অত্যাবশ্যকীয় আনাজ এবং পেঁয়াজ লকারে রাখা উচিত। আজ, তার নীতি বদলে গেছে। মোদি এখন প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের অর্থনীতি একেবারে ভগ্নপ্রায়। আগে অচৈতন্য ব্যক্তিকে পেঁয়াজ শুঁকিয়ে জ্ঞান ফেরানো হত। তবে এখন তো সেটাও সম্ভব নয়, বাজার থেকে পেঁয়াজই উধাও।”

''আমি খুব বেশি পেঁয়াজ খাই না'' পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য

“পন্ডিত নেহেরু (জওহরলাল নেহেরু) এবং ইন্দিরা গান্ধিকে দেশের অর্থনীতির সর্বনাশা ধ্বংসের জন্য দায়ী করা যায় না। বর্তমান সরকার বিশেষজ্ঞদের কথা শোনার মতো মুডেই নেই। তাদের কাছে অর্থনীতি শেয়ার বাজারের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে,” সামনার সম্পাদকীয়তে লিখেছে শিবসেনা।

Advertisement

কেন্দ্র সরকার বাংলাকে পচা পেঁয়াজ জোগান দিচ্ছে: অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বিজেপির প্রাক্তন এই বন্ধু ওই লেখায় নোটবাতিলের বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। “খুব কম মানুষই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই সিদ্ধান্তগুলি তাদের ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির জন্য বৈধ। তবে তাদের সিদ্ধান্তগুলি অর্থনৈতিক সংস্কারকে প্রান্তিক করে তুলেছে। নোটবাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দেশের অর্থমন্ত্রীকেই অন্ধকারে রাখা হয়েছিল এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরও এর প্রতিবাদ করেছিলেন, পরে তাকেও অপসারিত করা হয়,” জানিয়েছে শিবসেনা।

Advertisement

Viral Video: টাকা পয়সা নয়, এই রুটের অটোয় পেঁয়াজ দিয়ে চলছে ভাড়া মেটানো!

দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়াতেও কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে শিবসেনা। “গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে এবার ১০৭ টি দেশের মধ্যে ভারত ১০২ তম স্থানে রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত ৫৫ তম স্থানে ছিল এবং গত পাঁচ বছরে দেশে দারিদ্র্য চরম বেড়েছে। অন্যদিকে নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে। জনগণের হাতে কোনও কাজ নেই এবং তাদের পেটে খাবারও নেই। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষদের এখন এই অবস্থা কিন্তু শাসকরা বলছে এটা নাকি উন্নয়ন। আমাদের অর্থনীতি অসুস্থ, কিন্তু মোদি সরকার এখনও তা মেনে নিতে প্রস্তুত নয়,” জানিয়েছে শিবসেনা।

Advertisement