শনিবার মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন Ajit Pawar
হাইলাইটস
- সেচ কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত কিছু মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
- এমন সময়ে এই মামলা বন্ধ হয়েছে যে এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে
- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোট করানোর বিষয়ে আবেদন ৩ দলের
মুম্বই/নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনীতিতে নতুন মোড়। কিছুদিন আগেই এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের (Ajit Pawar) বিরুদ্ধে সেচ কেলেঙ্কারি সহ মোট ৯ টি দুর্নীতি মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। গত শনিবারই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপির পাশে এসে দাঁড়ানোয় শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ তাঁকে পাশে নিয়ে নতুন সরকার (Maharashtra Government) গড়েন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। শুধু তাই নয়, গোটা দেশ অবাক হয়ে দেখে, অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া বিজেপিই তাঁকে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন করেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই একে-একে দুই করে শীর্ষ আদালতের কাছে কেন অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ দুর্নীতি মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দ্বারস্থ হল মহারাষ্ট্রের ৩ দলের (Shiv Sena-NCP-Congress) জোট।
এর আগে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে আপত্তি জানিয়েও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করে আস্থা ভোট করানোর বিষয়ে নির্দেশ দিতে। পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ না করা পর্যন্ত যাতে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে না পারে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বিজেপি সরকার সে বিষয়ে নির্দেশ দিতেও সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানায় তাঁরা।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দড়ি টানাটানিতে আজ রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট
বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত ঘোষণার ঠিক আগে ওই ৩ দলের জোট, মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি নতুন করে শীর্ষ আদালতে এই পিটিশন দায়ের করে।
শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট এখন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার ওই মামলা বাতিল করেছে বলে অভিযোগ করেছে। তাঁরা জানিয়েছে যে সেচ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কিছু মামলায় তদন্ত বন্ধ করা হয়েছে, যে মামলায় অভিযুক্ত অজিত পাওয়ার।
তবে মহারাষ্ট্রের দুর্নীতি দমন ব্যুরো সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, যে ৯টি মামলা বন্ধ করা হয়েছে তার কোনওটাই অজিত পাওয়ারের সঙ্গে জড়িত নয়। ব্যুরোর এক আধিকারিক বলেছেন যে বম্বে হাইকোর্টে আপডেটের তারিখ নিকটবর্তী হওয়ায় ওই ঘটনা একটা রুটিন পদক্ষেপ ছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে উর্ধ্বতন আধিকারিক পরমবীর সিং বলেন, "আমরা সেচ সংক্রান্ত অভিযোগে প্রায় ৩,০০০ টেন্ডারের তদন্ত করছি। যেগুলি বন্ধ করা হয়েছে সেগুলি রুটিন অনুসন্ধান ছাড়া আর কিছুই ছিল না এবং ওই বিষয়ে তদন্ত আগের মতো চলছে।"
"গণতন্ত্রের হত্যা": মহারাষ্ট্রের চলতি নাটক নিয়ে সংসদে বললেন রাহুল গান্ধি
তিনি বলেন, "যেসব মামলা বন্ধ করা হয়েছে সেগুলির কোনওটিই মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।"
এর আগে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং বিজেপি সবসময়েই দুর্নীতির অভিযোগে অজিত পাওয়ারকে বিদ্ধ করেছে। ২০১৪ সালে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ফড়নবিশ যে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল অজিত পাওয়ারের সেচ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ভূমিকার তদন্তকে অনুমোদন করা, যার মধ্যে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। কংগ্রেস-এনসিপি সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ৭০,০০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
দুর্নীতি দমন ব্যুরো একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যে ৯ টি মামলা বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলি বিদর্ভ অঞ্চলের ওয়াশিম, যবৎমাল, আম্রবতী এবং বুলধানার সেচ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত।
মহারাষ্ট্রের খবরে চোখ রাখুন, চোখ রাখুন দেশের খবরেও: