শিবসেনা ( Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবং তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে আজ অযোধ্যা (Ayodhya) পৌঁছলেন অস্থায়ী রামমন্দিরে (Ram Mandir) প্রার্থনা করতে। শনিবার থেকে এখানে এসে পৌঁছেছেন আঠেরো জন সাংসদ। বাবা ও ছেলেকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরবিন্দ সবন্ত ও দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। শিবসেনা প্রধান পরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি গত বছরের নভেম্বরে অযোধ্যায় এসেছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাম মন্দির নির্মাণ শুরুর একটি তারিখ ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি।
কাজে ফিরতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ফেরালেন চিকিৎসকরা: ১০টি তথ্য
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, উদ্ধব ঠাকরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আগামীকাল থেকে লোকসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তাই সংসদে প্রবেশের আগে সমস্ত শিবসেনা সাংসদরা এখানে এসেছেন রাম লাল্লার আশীর্বাদ নিতে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এখানে খুব দ্রুত মন্দির নির্মিত হবে।''
তিনি বলেন তাঁর দল যে কোনও মন্দির নির্মাণের যে কোনও অধ্যাদেশকে সমর্থন করবে। এনআই জানাচ্ছে, উদ্ধব বলেন, ‘‘আমরা বলছি অধ্যাদেশ আনা হোক। আমি আত্মবিশ্বাসী একটি রাম মন্দির এখানে নিশ্চয়ই গড়ে উঠবে। আমি এখানে দ্বিতীয় বার এলাম… এ এমন এক জায়গা আপনি ফিরে ফিরে আসতে চাইবেনই। সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং কেউ তাদের রুখতে পারবে না। সরকারের সিদ্ধান্তকে কেউ আটকাতে পারবে না। সারাদেশ ও বিশ্বের হিন্দুরা এটা চায়।''
শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী আজ সকালে টুইট করে জানান, ‘‘শ্রী উদ্ধব ঠাকরেজি কথা দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচনে জেতার পরে অযোধ্যায় আসবেন রাম লাল্লার দর্শন করতে। আজ তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। সঙ্গে আদিত্য ঠাকরে ও দলের নির্বাচিত সাংসদরা।''
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “হুমকি”র পরেই চিকিৎসকদের ধর্মঘট হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত বছরের নভেম্বরে অযোধ্যা রীতিমতো কেল্লায় পরিণত হয়েছিল যখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে বিপুল জন সমাবেশ হয়েছিল। সেই জমায়েত থেকে দাবি উঠেছিল, আইনি প্রক্রিয়াকে এড়াতে সরকার মন্দির নির্মাণের জন্য একটি অধ্যাদেশ বা বিশেষ নির্দেশ জারি করুক।
উদ্ধব ঠাকরেও নভেম্বরে অযোধ্যায় ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর দু'দিনের সফরের সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জমায়েতের কোনও যোগ নেই। সেবারই প্রথম শিবসেনা প্রধানের অযোধ্যায় আসা। রাম লাল্লার ‘দর্শন' করতে তিনি সেখানে যান।
গত ৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের সমস্যা কোনও জমি সংক্রান্ত সমস্যা নয়। এর সঙ্গে ‘আবেগ ও বিশ্বাস' জড়িয়ে রয়েছে। বহু দশকের পুরনো বিতর্কের সমাধানে মধ্যস্থতার ব্যাপারে বহু আবেদনকারীই আবেদন করেন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে। সেই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট ওই কথা বলে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ‘‘এটা কেবল সম্পতির ব্যাপার নয়। এটা মন, হৃদয় ও সম্ভব হলে আরোগ্যের বিষয়।'' এরপর আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীকে বিষয়টি দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট।