This Article is From Oct 18, 2018

শোলাশিল্পীদের তুলে আনছে পুজো কমিটি

বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।

Advertisement
Kolkata Posted by
কলকাতা:

এ বছর শোলাশিল্পীদের কাজকে মানুষের সামনে নিয়ে এসেছে শহরের দু'টি পুজো কমিটি। তাদের মণ্ডপ সেজে উঠেছে শোলার অপূর্ব হাতের কাজে। একটি পুজো হল দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনার অক অখ্যাত গ্রাম থেকে চল্লিশ জন শোলা শিল্পী এবং তাদের দুশো জন সহকারীকে নিয়ে এসেছেন মণ্ডপ সাজানোর জন্য। শোলা এক ধরনের গাছ। এটি সাধারণত জলা জমিতে বেড়ে ওঠে। গাছের উপরিভাগ থেকে শোলা তৈরি হয়। এই সাদা নরম জিনিষটি প্রায় থার্মোকলের মতোই দেখতে। কিন্তু থার্মোকল ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়। তবে থার্মোকলের থেকে এটি বেশি ভাল, সুন্দর ও নরম।

দেখুন ভিডিও:

বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান। পুজো কমিটির মুখপত্র বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির পুজোয় আচার অনুষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদমালা, শোলার মুকুট ব্যবহার হয়। কিন্তু শিল্পীরা কদর পান না। তাই আমরা এই মানুষগুলোতে নিয়ে এসেছি সামনে। এই মানুষগুলোর ২৪০ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের মণ্ডপ গড়ে উঠেছে। আমরা মানুষের কাছে এই আর্ট ফর্ম ছড়িয়ে দিতে চাইছি।'' মণ্ডপটি দর্শনার্থীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুরাধা রায় নামে এক মিডিয়া প্রফেশনাল বলেন, ‘‘সত্যিই শোলাপিঠের সাহায্যে এত সূক্ষ্ম যাদের কাজ তাদের কথা আমরা জানতামই না।''

Advertisement

দেখুন ভিডিও:

সামান্য দূরেই একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব। তারাও পূজার জন্য ৩২ ফুটের চাঁদমালা বানিয়েছে। তাতে রয়েছে তিনটি চাকতি। প্রত্যেকটি আট ফুট ব্যাসের। পুজোর এক উদ্যোক্তা জানালেন, চাঁদমালায় ছোট ছোট আলো থাকায় তা রাতেও দেখা যাবে। একজন শোলা শিল্পী বলেন, ‘‘অরূপ দাশগুপ্ত নামে একজন সরকারী কর্মচারী এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, তার দশ বছরের ছেলে এত বড় চাঁদমালা দেখে মুগ্ধ।'' আমরাও খুব খুশি এই সম্মান পেয়ে।

Advertisement
Advertisement