কলকাতা: ঢাকের বোল সকাল থেকেই যেন আস্তে বাজছে। প্যান্ডেলের ভিড় সপ্তমীর মতোই। কিন্তু ছোট থেকে বড় সবার মুখে বিষাদের ছাপ। মঙ্গলবার বিজয়া দশমী (Dashami) থেকে আবার ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো। দিন গোনা। কবে মা আসবেন? সকাল থেকেই তাই বাগবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব (Bagbazar Sarbajaneen Sindoor khela) পুজো মণ্ডপে আয়োজন চলছে ঘরের মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর। বিধি মেনে দধিকম্মা হয়েছে। তারপরেই পুজো কমিটির পাঁচজন ব্রাহ্মণ মহিলা এয়ো স্ত্রীর বিধি মেনে বরণ করেছেন প্রতিমাকে। প্রতিমার উচ্চতা বিশাল হওয়ায়, কেউই মায়ের কপালে সিঁদুর ছোঁয়াতে পারেননি। নিয়ম অনুযায়ী পানপাতায় মুখ মুছিয়ে সেই পাতা অঞ্জলি হিসেবে নিবেদন করা হয়েছে মায়ের পায়ে। মিষ্টিমুখ করানো হয়েছে লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশকে। এরপর সবার জন্য অবারিত দ্বার। সিঁদুর খেলা (Sindoor Khela) চলেছে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। তারপর বাগবাজার গঙ্গাঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা।
মণ্ডপের সামনে তখন লম্বা লাইন। লাইন মণ্ডপ ছাড়িয়ে ছুঁয়েছে পুজোর প্রবেশ দ্বার। বহু দূর থেকে সবাই এসেছেন দেবী বরণ করতে। প্রায় প্রত্যেকেই সবার আগে বরণ করেন ১০৩ বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত এই দেবী প্রতিমাকে। কলকাতার মেয়র হওয়ার পর এই পুজোর পৃষ্টপোষক ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
মাকে বরণ করার পর সেই সিঁদুরের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে উঠেছেন একে অন্যেও। আন্তরিক ভাবে সবার মঙ্গল কামনা করেছেন সবাই।
দেবী বরণের তৃপ্তি নিয়ে, সিঁদুরের লালিমায় লজ্জারাঙা হয়ে, এক বছরের অনন্ত প্রতীক্ষা, আবার এসো মা।
Click for more
trending news