তারার মেলায় উজ্জ্বল আর্বানা কমপ্লেক্সের বিজয়া দশমী (সৌজন্যে, ছবি, ভিডিও ফেসবুক)
কলকাতা: তারকাদের সিঁদুর খেলা (Sindoor Khela)! সে তো মহা ব্যাপার। পুজোর চারটে দিন উৎসবের মধ্যমণি যখন মা দুগ্গা তখন তাঁর বিদায়বেলা যে তারকাখচিত হবে সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু দিনেদুপুরেই তারার আলোয় ঝিলমিল করে উঠল শহরের কোন জায়গা? বাইপাসের ধারে আরবানা কমপ্লেক্সের ( Urbana Complex) দেবীবরণে (Shuva Bijaya Dashami) সোমবার উঠে এসেছিল একটুকরো টলিপাড়া। ছিলেন বহু জনপ্রিয় বাংলা ছবির দুই পরিচালক অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তী। ছিলেন টলিউডের ভীষণ গ্ল্যামারাস দুই নায়িকা শুভশ্রী, শ্রাবন্তী। আর ছিলেন ২০ জন তৃতীয় রূপান্তরকামী নারী। এখানে সবার অবাধ প্রবেশ ছিল সিঁদুর খেলায়। দেখুন সেই ভিডিও:
শুধু দশমীর দিন নয়, পুজোর চারটে দিনও একই ভাবে এঁদের দেখা মিলেছে। কারণ, এই তারকারা আর্বানার বাসিন্দা। তাই চারটে দিন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন শব্দগুলোকে সরিয়ে নিজেদের জড়িয়ে নেন পুজোর আনন্দে। যুক্ত থাকেন পুজোর নানা কাজে।
নতুন বিয়ের পর শ্রাবন্তীর এটা প্রথম পুজো। স্বাভাবিক ভাবেই তাই নায়িকা যেমন খুশি তেমনি উত্তেজিত। স্বামী রোহন সিংকে নিয়ে তিনি জমিয়ে খেললেন। একই সঙ্গে সবাইকে জানালেন বিজয়ার শুভেচ্ছা। সিঁদুরে, লাল-সাদা শাড়িতে শ্রাবন্তী আজ একই সঙ্গে শুকতারার মতোই ঝলমলে, সন্ধ্যাতারার মতোই স্নিগ্ন। ছিলেন 'রাজশ্রী'। রাজ-শুভর এটি বিয়ের পর দ্বিতীয় বছরের পুজো। মাথায় ঘোমটা টেনে শুভশ্রী যখন দেবীবরণে ব্যস্ত রাজ ব্যস্ত তাঁর 'পরিণীতা'র ছবি তুলতে। মাকে বরণ করার পরে দুই নায়িকাই সমস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে মঙ্গল কামনা করেন মায়ের কাছে। এসেছিলেন অভিনেত্রী পায়েল সরকারও।
বিজয়ার আনন্দে মেতে উঠেছিলেন সস্ত্রীক বাবু অরিন্দম শীলও। স্ত্রী শুক্লা মনের আনন্দে খেললেন সিঁদুর। অরিন্দমের ভূমিকা এখানেও পরিচালকের। দায়িত্ব নিয়ে পুরো ব্যবস্থাপনার তদারকি করতে দেখা গেছে তাঁকে। আর অষ্টমীতে জানিয়েই ছিলেন, বিসর্জনে ধুনুচি নাচ নাচবেন, ঢাক বাজাবেন। কথা রেখেছেন পরিচালক। রূপান্তরকামীদের সঙ্গে ধুতি-পাঞ্জাবিতে শোভিত অরিন্দমের নাচ যেকোনও নায়ককে গুণে গুণে দশ গোল খাওয়াবে। পাশাপাশি সস্ত্রীক অরিন্দম সমস্ত শহরবাসীকে শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Click for more
trending news