This Article is From Oct 12, 2018

ফেলা জিনিস তুলে নিয়েই সাজছে পুজোমণ্ডপ

এক উদ্যোক্তা জানালেন, পুজো মানে সামাজিক অর্থনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সকলে এক সঙ্গে সম্প্রীতির বার্ত দেওয়া। সেই বার্তাই দিচ্ছে শ্যামবাজারের এই পুজো।

ফেলা জিনিস তুলে নিয়েই সাজছে পুজোমণ্ডপ
কলকাতা:

বর্তমান পৃথিবীর আকাশ ছেয়ে গিয়েছে, কালো বিষ বাষ্পে। এ ধোঁয়া শুধু যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নয়, আসলে মানব সভ্যতার উপরে ক্রমাগত ঘনিয়ে আসছে সঙ্কট, সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, মানবতা ধ্বংসকারী এক অশুভ শক্তি ক্রমশ সভ্যতাকে গ্রাস করতে চাইছে। তারই বিরুদ্ধে গিয়ে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দিতে শ্যামবাজার পল্লি সঙ্ঘের এ বছরের নিবেদন ‘যেটাই ফেলি সেটাই তুলি।’

6amotiq

শিল্পী দিব্যেন্দু রায়ের হাতে রূপ পাচ্ছে ওই থিম। প্রতিদিনই আমাদের কাছে বহু জিনিষ বাড়তি হয়, ফেলে দিই আমরা। খালি বোতল, কাঠি, বল, কাগজ, প্লাস্টিক, দড়ি, কোনও কাঠকুটোর টুকরো আরও কত কী। সেই সব ফেলে দেওয়া জিনিসকেই এ বার তুলে এনে মণ্ডপ সাজাচ্ছে শ্যামবাজার পল্লি সঙ্ঘ। শুধু তুলে আনাই নয়, সেগুলোর রূপ বদলে তাকে অন্য রূপে সাজিয়ে তুলে আনছেন শিল্পী।

8b0ikjgo

প্রচারের দায়িত্বে থাকা দীপান্বিতা বাগচী জানান, স্থানীয় একটি বস্তি অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের বেশ কিছু ছেলেমেয়েকে এই পুজোর থিমের কাজে সংযুক্ত করেছেন শিল্পী ও পুজোকর্তারা। তারা জানালেন, ওই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই বছরভর উৎসাহ নিয়ে সব ফেলে দেওয়া জিনিস সংরক্ষণ করেছে।

15209ibgতার পর থিম মেকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে তারাই তৈরি করেছে মণ্ডপ সাজানোর জন্য নানা মোটিফ। এক উদ্যোক্তা জানালেন, প্রায় আটটি শিশু এই কাজে যুক্ত ছিল। পুজো আস‌লে সকলে মিলিত হওয়ার বার্তা দেয়। পুজো মানে সামাজিক অর্থনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সকলে এক সঙ্গে সম্প্রীতির বার্ত দেওয়া। সেই বার্তাই দিচ্ছে শ্যামবাজারের এই পুজো।

.