প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সিয়াচেনের তুষারাবৃত অঞ্চ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিও পরিদর্শন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে আগামীকাল সিয়াচেন যাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। এটাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম সফর। পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন। ওই এলাকার, বিশেষ করে পাকিস্তানের সীমান্তের প্রতিরক্ষা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ। এই সফরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম আর্মি প্রধান বিপিন রাওয়াত এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্যন্য সিনিয়র আধিকারিকরা। সরকারি সূত্র একথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে। ওখানে যাওয়ার পরে রাজনাথ সিংহকে ভারতীয় বায়ুসেনার সহায়তায় তৈরি আর্মি বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হবে। উত্তরের আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিংহ, কার্গিল যুদ্ধের নায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওআইকে জোশী এবং ১৪ জন সেনা কমান্ডারও ওই অঞ্চলের প্রতিরক্ষা পরিস্থিতি রাজনাথকে জানাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় দূতাবাসের ইফতার পার্টিতে আসা অতিথিদের সরিয়ে দিলেন পাক আধিকারিকরা
ভারতীয় আর্মি ওই এলাকায় একটি ব্রিগেড গঠন করেছে। কোনও কোনও পোস্ট ২৩,০০০ ফুটেরও উপরে অবস্থিত। ওই অঞ্চলে শ্বাস নেওয়াই দুষ্কর। ইউপিএ-১-এর সময় ওই অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আর্মির পক্ষে ওখানে সেনা ছাউনি রেখে দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। ১৯৮৪ সাল থেকে সিয়াচেনের তুষারাবৃত অঞ্চল আর্মির দখলে রয়েছে। সেই সময় ‘অপারেশন মেঘদূত'-এর মাধ্যমে পর্বত অভিযাত্রীর মতো চুড়োয় পৌঁছে পাকিস্তানি আর্মির থেকে ওই এলাকার দখল করে নেয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সিয়াচেনের তুষারাবৃত অঞ্চ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিও পরিদর্শন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান। এরপর পরশু প্রতিরক্ষা হিসেবে দায়িত্ব পান রাজনাথ সিংহ। নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ডেকে বর্তমানের সব কর্মসূচির বিস্তৃত বিবরণ প্রস্তুত করতে বলেন। আর্মিবাহিনীর আধুনিকীকরণ সম্পূর্ণ করতে আধিকারিকদের সময়ের মধ্যে প্রজেক্টগুলি শেষ করতে বলেন তিনি।
কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন সনিয়া গান্ধী
শনিবার তাঁকে প্রজেক্টগুলি সম্পর্কে জানানো হয়। পাশাপাশি যে যে কাজের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে সেগুলি সম্পর্কেও তাঁকে জানান প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্র ও তিনজন কর্মাধ্যক্ষ।