নেটিজেনদের দাবি ওই আগুনে যিশুর অবয়ব দেখেছেন তাঁরা
বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ঐতিহাসিক নোতরদাম গির্জা (Notre Dame Cathedral)। ইতিহাসের বিখ্যাত এই কাঠামো যখন পুড়ে যাচ্ছে ভয়ানক আগুনে, সেই আগুনের মাঝে নাকি স্বয়ং যিশু খ্রিষ্টকে দেখতে পেয়েছেন মানুষ! সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষই একপ্রকার দৃঢ়প্রত্যয়ী যে যিশু খ্রিষ্টের একটা ঝাপসা অবয়ব তাঁরা ওই আগুনের মাঝে দেখতে পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক নোতরদাম ক্যাথিড্রালকে গ্রাস করে বিধ্বংসী আগুন। যিশুকে দেখতে পাওয়ার প্রথম দাবিটি জানিয়েছিলেন, স্কটল্যান্ডের আলেকজান্দ্রিয়ার বাসিন্দা লেসলি রোওয়ান (Lesley Rowan)। তিনি একটি পোস্টও করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যদিও এখন সেটি ডিলিট করে দিয়েছেন। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন: “আমি এখনও আমার মনকে বিশ্বাস করাতে পারছি না, আপনারা সকলে এই ছবিটি ভালোকরে খুঁটিয়ে দেখুন, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন?” পোস্টের সঙ্গে তিনি প্যারিসের নোতরদামের একটি ছবিও শেয়ার করেন, ওই ছবির একটি অংশ গোল করে চিহ্নিত করা ছিল।
ফেসবুকে অনুমতি ছাড়াই আপলোড হল ১৫ লাখ মানুষের ইমেল, আপনি নিরাপদে তো?
লেসলির সাথে একমত হন বহু অন্যান্য নেটিজেনরাও। ঝড়ের বেগে মন্তব্য করতে থাকেন মানুষ ওই পোস্টে।
একজন তাতে লেখেন, “আমি বেশ পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, গাউন এবং অন্যান্য সব দেখতে পাচ্ছি"। অন্য একজন আবার লেখেন, “হ্যাঁ, আমি একেবারে সরাসরিই দেখতে পাচ্ছি! এটা যীশু!”
অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্যারিসের বিশ্ব বিখ্যাত নোতরদাম ক্যাথিড্রাল একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই গির্জার ভেতর দিয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরে ছাদের অংশ ভেঙ্গে পড়েছে সম্পূর্ণ। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০০ টি দমকলের ইঞ্জিন ৪ ঘণ্টা সময় নেয়।
সিংহীকে খাঁচায় আদর করতে গেছিলেন পর্যটক, দেখুন তাঁর মর্মান্তিক পরিণতির ভিডিও
লেসলি তাঁর কথার ব্যাখ্যা করে বলেন, “যখন আমি ছবিটা দেখি তখন আমি যীশুর একটি সিলুয়েট দেখতে পাই। আমি সত্যিই একটি উজ্জ্বল চিত্র দেখি। আমি এটা শেয়ার করেছিলাম এবং জনগণের মতামত চেয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়ায় থাকে আমার ভাই, সেও বলেছিল যে এটা যিশুর মতো মনে হচ্ছে। আমার বিশ্বাস যে, এই দুঃখজনক সময়ে প্যারিসে এবং সারা বিশ্বের মানুষকে সান্ত্বনা দেবে ছবিটি।"
সোমবার ৮৫০ বছরের প্রাচীন নোতরদাম ক্যাথিড্রালে যে বিপর্যয়কর আগুন লেগে যায় তা শতাব্দীর এই ঐতিহ্যকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করেছে। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এই গির্জা পুনর্নির্মাণের অঙ্গীকার করেছেন।
Click for more
trending news