সিমোন একজন পিয়ানোবাদকও এবং ‘দ্য গার্ল ইন দ্য পিংক রুম’ নামে ভারতে মানব পাচারের বিষয়ে একটি বইও লিখেছেন তিনি
দুবাই: একই সঙ্গে অনেক কলেজের ভর্তি তালিকায় নাম বেরোলে কলেজ বাছাই করতে গিয়ে আকাশ পাতাল এক করে ফেলেন ছাত্রছাত্রীরা। করাটা স্বাভাবিকও। উচ্চশিক্ষার জন্য অঠিক জায়গা নির্বাচন করতে গেলে প্রয়োজন তীব্র বিচক্ষণতা। আর এই সমস্যাতেই পড়েছেন দুবাইয়ের বাসিন্দা এক ভারতীয় ছাত্রী। একসঙ্গে একাধিক ভর্তি তালিকায় নাম বেরিয়েছে তাঁর, তবে সেই তালিকা যে সে তালিকা নয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি তালিকায় নাম বেরিয়েছে তাঁর যার মধ্যে রয়েছে আইভি লিগ স্কুলও (Ivy League schools)। সাতটি বিখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ভর্তি হওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ চিঠিও দেওয়া হয়েছে এই ছাত্রীকে, এতখানি প্রত্যাশাও করেননি বছর সতেরোর এই ছাত্রী।
১৭ বছর বয়সী সিমোন নূরলির (Simone Noorali) কাছে বার্কেলের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি (University of California in Berkeley), জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি (Johns Hopkins University), এমোরি ইউনিভার্সিটি (Emory University), জর্জ টাউন ইউনিভার্সিটি (George Town University) এবং জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি (George Washington University) থেকে ভর্তির চিঠি এসেছে।
গর্ভনিরোধক গয়না! কানে দুল, হাতে ঘড়ি পরলেই কীভাবে এড়ানো যাবে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ?
দুবাইয়ের মিডরিফের আপটাউন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সিমোন এবং ৯ বছর থেকেই বরাবর ফার্স্ট হচ্ছেন তিনি। ডার্টমাউথ কলেজ এবং পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আইভি লিগ স্কুলের তরফেও চিঠি পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
সিমোন খালিজ টাইমসকে বলেন, “আমি সত্যি সত্যি মনে করি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহীত হওয়ার এই বিষয়ে কোন গোপন রহস্য নেই। পুরো প্রক্রিয়াটিই হল নিজেকে আবিষ্কার করার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু অনন্য রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময় আমি আমার জীবনের দিকে ফিরে তাকাতে বাধ্য হই এবং আমি যা যা করেছি তার পিছনে কারণ খুঁজে বের করতে চেষ্টা করলাম। আমি কলেজের আবেদনের চিঠিতে সেই সব বিষয়ের কথাই লিখেছিলাম!”
বেড টি পেতে দেরি, আসানসোলে কী হয়েছে জানতেই পারলেন না মুনমুন
সিমোন একজন পিয়ানোবাদকও এবং ‘দ্য গার্ল ইন দ্য পিংক রুম' নামে ভারতে মানব পাচারের বিষয়ে একটি বইও লিখেছেন তিনি। এই বইটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি স্কুলে গবেষণার উদ্দেশ্যে ব্যবহারও করছেন।
এত এত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি আসতে শুরু করায় বেশ অবাকই হন সিমোন। তাঁর কাছে এতরকমের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে তা তিনি আশাও করেননি। এর মধ্যে থেকে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেবেন জানতে চাইলে সিমোন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনীতিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরা পঠনপাঠন হয় সেটার উপরেই নির্ভর করছে তাঁর সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, “আমি পড়ুয়াদের সবসময়েই বলব, যেটা করতে ভালো লাগে সেটাই করা দরকার, আমি তাঁদের একটাই পরামর্শ দেব, জোর করে নিজেদেরকে কিছু করতে বাধ্য করবে না। এটাই নিজেকে অনুপ্রাণিত করার সবচেয়ে ভালো উপায় এবং আপনি কী করতে ভালোবাসেন তা খুঁজে বের করার এটাই বড় অংশ।”