শুক্রবার শ্রীনগরে ঢুকতে গেলে বাধা পান সীতারাম ইয়েচুরি। (ফাইল চিত্র)
নয়াদিল্লি: ঈদের (Eid) দিনেও কাশ্মীরের মানুষ নিজেদের বাড়িতে ‘‘বন্দি''। সোমবার সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) এই অভিযোগ জানিয়ে সরকারকে সতর্ক করে জানালেন, জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' (Special Status) তুলে নেওয়ার ফলে অন্য রাজ্যগুলি যাদের এই স্ট্যাটাস রয়েছে সেখানেও প্রভাব পড়বে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইয়েচুরি বলেন, ‘‘ঈদ হল আনন্দ ও উদযাপনের উৎসব। এবং আমাদের মনে হচ্ছে কাশ্মীরের মানুষদের কথা, যাঁরা নিজেদের ঘরে বন্দি। আমরা এখনও জানি না কোথায় ও কীভাবে আমাদের কাশ্মীরের কমরেডরা রয়েছেন।'' শুক্রবার শ্রীনগরে ঢুকতে গেলে বাধা পান সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর সঙ্গে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
কাশ্মীরে তীব্র নিরাপত্তা কড়াকড়ি ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চলছে ঈদ উদযাপন
সীতারাম (Sitaram Yechury) আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন এক দেশ যেখানে ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতির বৈচিত্র রয়েছে। এটাই আমাদের শক্তি। জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্ট্যাটাস' জোর করে অগণতান্ত্রিক ভাবে বদলে দেওয়ার প্রভাব পড়বে অন্য রাজ্যেগুলিতেও, যাদের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' রয়েছে। ভুললে চলবে না তাদের অধিকাংশই ভারতের সীমান্তে অবস্থিত।''
সোমবার কাশ্মীর উপত্যকার বহু মসজিদে ঈদের প্রার্থনা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ, যাঁরা গত সপ্তাহ থেকে নজরবন্দি রয়েছেন, তাঁদের স্থানীয় মসজিদে নমাজ পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
৩৭০ ধারা বাতিল করার ফলেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের সমাপ্তি ঘটবে: অমিত শাহ
রবিবার জানানো হয়েছিল, পার্শ্ববর্তী মসজিদে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হবে রাজ্যের বাসিন্দাদের। তবে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে বড় জমায়েত এদিনও নিষিদ্ধ ছিল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)