বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে দলের জন্য তিনটি নীতিও স্থির করে দেন তিনি।
কলকাতা: সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বৃহস্পতিবার বললেন, তিনটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় প্রমাণ করল, সাধারণ মানুষের মনে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন নীতির ওপর ঠিক কী পরিমাণ রাগ এবং বিরক্তি জন্মেছে। "যে যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন হল, সেই রাজ্যগুলির নির্বাচন মূলত হয়েছে দুটি ইস্যুর ওপর। গ্রামীণ সমস্যা এবং দলিতদের ওপর অত্যাচার। বিজেপির হারের নেপথ্যের মূল কারণ এগুলোই। এই নির্বাচন থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষালাভ করা গেল। সেটি হল- মানুষ কোনও বিকল্প চাইছে। এমন কোনও বিকল্প যা মানবদরদী নীতির ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে"। সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের ১৮-তম পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত হয়ে এই কথা বলেন ইয়েচুরি।
"আমাদের উচিৎ হিংসা বিসর্জন দেওয়া" ২০০১-এর সংসদ হামলা স্মরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়াটা দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন। তার বদলে আসা উচিত এমন এক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির, যারা দেশ তথা দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে। কিন্তু এই জায়গায় বামপন্থীদের কী ভূমিকা থাকবে? খুব স্পষ্ট করে না হলেও, তারও উত্তর দেন ইয়েচুরি। তিনি বলেন, বামপন্থীদের ভূমিকা এমন হওয়া উচিত, যাতে দেশের বেশিরভাগ বিজেপি-বিরোধী ভোট এবং পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ বিজেপি ও তৃণমূল-বিরোধী ভোট পেতে পারে তারা।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অশোক গেহলত; সূত্র
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে দলের জন্য তিনটি নীতিও স্থির করে দেন তিনি।
তাঁর কথায়, "প্রথমে আমাদের লক্ষ্য হবে বিজেপি ও তার শরিকদের হারানো। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যেতে হবে একাগ্রভাবে। দ্বিতীয় লক্ষ্য হল, সংসদে বামপন্থীদের শক্তিশালী করা। যা, অত্যন্ত জরুরি। তৃতীয় লক্ষ্য হবে, কেন্দ্রে একটি প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের প্রতিষ্ঠা করা"।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)