This Article is From Jun 10, 2019

রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ, কিন্তু রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত হবে না: ইয়েচুরি

সীতারাম ইয়েচুরি(Sitaram Yechury) সোমবার বললেন, পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত নয়।

রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ, কিন্তু রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত হবে না: ইয়েচুরি

রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত নয় বলে জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি।

হাইলাইটস

  • সীতারাম জানালেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত নয় রাজ্যে।
  • কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সোমবার দেখা করলেন মোদীর সঙ্গে।
  • লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৩৪ আসন থেকে নেমে এসেছে ২২-এ।
নিউ দিল্লি:

সিপি(আই)এম (CPIM) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) সোমবার বললেন, পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত নয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি(Sitaram Yechury) জানান, ঠিক কী ঘটছে তা জানার জন্য তৃণমূল স্তর থেকে খবর বের করা দরকার। তিনি বলেন, ‘‘নীতির দিক দিয়ে আমরা সব সময়ই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিরুদ্ধে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বাংলায় খারাপ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার মানে এই নয় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক।'' শনিবার তৃণমূল ও বিজেপি (BJP) কর্মীদের সংঘর্ষের সময় তিন জন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যে। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সোমবার দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্যই তাঁদের এই সাক্ষাৎ।

বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নয়, অন্য দাবির কথা জানাল বিজেপি

তৃণমূল‌ কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে এপ্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শদানকে ‘চক্রান্ত' বলে অভিহিত করা হয়েছে। দলের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, রাজ্যকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শদান আসলে ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির (BJP) গভীর চক্রান্ত। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) গতবারের ৩৪ আসন থেকে নেমে এসেছে ২২-এ। উল্টো দিকে বিজেপি ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে যেখানে মাত্র দু'টি আসন পেয়েছিল, তারা এবার পেয়েছে ১৮টি আসন। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে গত কয়েক দিনে রাজ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী।

তৃণমূলের চিঠি অমিত শাহকে, মসনদ দখলে গভীর চক্রান্তের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে, জানুন ১০টি তথ্য

শনিবারের ঘটনার পরে মৃত বিজেপি (BJP) কর্মীদের অন্ত্যেষ্টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে গণ্ডগোল হয়। পরে কলকাতা থেকে ৭০ কিমি দূরে হাইওয়ের উপরেই দাহকার্য সম্পন্ন হয়। শয়ে শয়ে বিজেপি সমর্থকরা এই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির তরফ থেকে সোমবার ‘কালা দিবস' পালন করা হচ্ছে।

রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হিংসাত্মক ঘটনার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রাজ্য সরকারকে আইনি ব্যবস্থা ও শান্তি প্রক্রিয়া বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি যে আধিকারিকরা তাঁদের কাজ ঠিক করে করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।

.