This Article is From Jun 10, 2019

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে, সন্ত্রাসের ঘটনার কেন্দ্রকে জানাল রাজ্য

রবিবার সকালে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বার্তা (Center's Advisory) দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের  তরফে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে, সন্ত্রাসের ঘটনার কেন্দ্রকে জানাল রাজ্য

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি  (Law And Order Situation) নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে বলে দাবি করল রাজ্য প্রশাসন।

হাইলাইটস

  • সন্দেশখালিতে তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে
  • ইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বার্তা দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে
  • কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যের বক্তব্যকে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হল
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি  (Law And Order Situation) নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে বলে দাবি করল রাজ্য প্রশাসন। সন্দেশখালিতে তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে (Basirhat Murder) কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় রবিবার সকালে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বার্তা (Center's Advisory) দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের  তরফে। মোদী সরকারের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল নির্বাচনের পর কয়েকটি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের (Stray Incidents) ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব (Bengal Chief  Secretory)  মলয় দে'র লেখা চিঠিতে দাবি করা হয়েছে প্রত্যেকটি সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্য সরকার দ্রুত এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কিছু সমাজবিরোধী কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা  নিয়ন্ত্রণের ভার যাদের হাতে তারা অত্যন্ত কঠোর ভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন। বিন্দুমাত্র দেরি না করে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তাই এমন ভাবার কোনও পরিস্থিতি নেই যে রাজ্য প্রশাসন এবং আইন নিয়ন্ত্রণের ভার যাদের হাতে রয়েছে তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ।  পাশাপাশি তিনি দাবি করেন সাধারণ মানুষও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে না।

 হাইওয়েতেই মৃত কর্মীদের দাহ করতে চেয়ে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

রাজ্য সরকারের এই বক্তব্য আসার আগে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও কেন এত সংঘর্ষ হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই মন্ত্রকের তরফ একটি ‘পরামর্শ বার্তা' রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়। তাতে লেখা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে যে সন্ত্রাস হচ্ছে সেগুলি দেখে মনে হচ্ছে আইন বলবৎ করা দায়িত্বে যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে তারা নিজেদের কাজ ঠিক করে করতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে তারা ব্যর্থ। 

“গ্রেট টাইগ্রেস”, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় শত্রুঘ্ন সিনহা

সন্দেশখালির ঘটনার পর  বিজেপির তরফে  গোটা বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নজরে আনা হয়। তারপরই অমিত শাহর দপ্তর থেকে বার্তা এসে পৌঁছয়। তৃণমূল  অবশ্য গোটা ব্যাপারটাকে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে  চক্রান্ত  হিসেবেই দেখছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ একটি শান্ত রাজ্য। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরামর্শ পাঠানোর কোনও প্রয়োজন নেই। উত্তর প্রদেশ বা গুজরাটের ক্ষেত্রে কোনও পরামর্শ পাঠানো হচ্ছে না কেন? এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। আমরা বলছি সাহস থাকে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করে দেখান।

.