যাদবপুরের পথেই আন্দোলন করে দাবি আদায়ের কৌশল শহরের আরেক গর্বের প্রতিষ্ঠানে। নতুন হোস্টেলে থাকতে দেওয়ার দাবিকে সামনে রেখে অনশন চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। নতুন করে তৈরি হওয়ায় এই ছাত্রাবাসে শুধু প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। এখানেই আপত্তি সিনিয়র ক্লাসের পড়ুয়াদের। তাঁদের দাবি পুরনো হোস্টেলে থাকার জায়গার সমস্যা রয়েছে। কমকরে একশো জনকে এই কারণে অনেক দিন ধরে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিন্ত তবু তাঁদের নতুন জায়গায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর সেই কারণেই শুরু হয়েছে অনশন।
এই দাবিকে সামনে রেখে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের মোট ছ'জন পড়ুয়ার অনশন মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে পড়ল। আন্দোলনকারীদের দাবি হোস্টেলের সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তাঁরা এই লড়াই চলবে । তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সায়ন রায় জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে আমরা হোস্টেলের সমস্যায় জেরবার। আর এখন শুধু প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য হোস্টেল তৈরি হচ্ছে। এটা কি গণতন্ত্র ?
উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের দাবি তাঁদের হোস্টেল থাকার উপযুক্ত নয়। বেশিরভার ঘরেই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাট নেই। রয়েছে অন্য সমস্যাও। বার বার বলা হলেও কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তারই মধ্যে নয়া ফরমান জারি হওয়ায় ক্ষোভে ফুটছেন পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। এরকমই নানা কারনে গত সপ্তাহে ঘেরাও করা হয় কল কলেজের অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্রকে।
আন্দোলন শুরু হলেও নির্দেশিকা প্রত্যাহারের ভাবনা নেই কলেজর। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার গাইড লাইন অনুসারে প্রথম বর্ষের পরুয়াদের বাকিদের সঙ্গে একই জায়গায় রাখা যায় না। আর সে কারণেই নিতে হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। তবে বাকি পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের বিষয় যে কলেজের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হবে সেটাও জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। কিন্ত তাঁর দাবি আলোচনা না করে একতরফা ভাবে অনশন করছেন পড়ুয়ারা। তিনি বলেন, আমরা চাই অনশন ভেঙে ওঁরা আলোচনা পথে আসুন। '
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)