Monsoon 2019: বৃষ্টি কম হওয়ার পিছনে এল নিনোর প্রভাব (El Nino phenomenon) দায়ী
নিউ দিল্লি: কৃষকদের জন্য মোটেও সুখের হবে ২০১৯ সাল। বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা স্কাইমেট (private weather forecasting agency Skymet) বুধবার জানিয়েছে, এই বছর স্বাভাবিকের থেকেও কম বৃষ্টি (below normal rainfall) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৫৫%, জানিয়েছে ওই সংস্থার পূর্বাভাস। দক্ষিণ ভারতে মে মাসের শেষের দিকে বা জুন মাসের শুরুতে প্রথম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে। তারপরেই দেশ জুড়ে বর্ষা নামে এবং তারপর জুলাইয়ে ধীরে ধীরে উত্তর ভারতের দিকে এগিয়ে যায় বর্ষার মৌসুমী বায়ু। সাধারণত অক্টোবর থেকে উত্তর ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন করে এই বায়ু।
শ্বশুরঘরে দু'বছর না খেতে দিয়ে ওজন ২০ কেজি, পণ না দেওয়ার শাস্তিতে বধূমৃত্যু
বেসরকারি এই পূর্বাভাস সংস্থা জানিয়েছে যে, দীর্ঘ সময়ের গড় (long period average), যা ‘স্বাভাবিকের চেয়ে কম' শ্রেণিতে পড়ে, তার ৯৩% আশঙ্কা রয়েছে কম বৃষ্টির। দীর্ঘ সময়ের গড় বৃষ্টিপাত হল ১৯৫১ থেকে ২০০০ সালের বৃষ্টির গড়, যা হল ৮৯ সেমি।
স্কাইমেটের প্রধান (Chief of Skymet) যতীন সিং, স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়েও কম বৃষ্টির কারণ হিসেবে এল নিনোকেই (El Nino phenomenon) উল্লেখ করেছেন। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের থেকে কম বৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবেই চাষের উপর প্রভাব পড়বে ভীষণ আর তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস করারও ভয় রয়েছে।
যতীন বলেন, “প্রশান্ত মহাসাগর গড় উষ্ণতার তুলনায় বেশিই উষ্ণ হয়ে উঠেছে। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এল নিনোর ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে বলেই প্রোজেকশন মডেলে দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে জুন থেকে মে মাসের সম্ভাবনা রয়েছে ৬০%।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পেসেই আততায়ীর গুলিতে খুন সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়া
২০১৮ সালে ঠাণ্ডা বেশ জাঁকিয়ে পড়লেও ২০১৯ সালের সার্বিকভাবেই তাপমাত্রা উষ্ণ হতে পারে বলেই আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা আগে জানিয়েছিলেন। এল নিনোর ফলে তাপমাত্রার সার্বিক বৃদ্ধি ঘটবে এবছর।
২০১৮ সালে দক্ষিণ পশ্চিম এবং উত্তর পূর্ব দুই মৌসুমী বায়ুই স্বাভাবিকের থেকে কম মাত্রায় ছিল। অনিশ্চিত আবহাওয়ার কারণে দেশের বেশ কিছু অংশ কৃষি সমস্যা দেখা দিয়েছে।