This Article is From Sep 12, 2019

বোলপুরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চান মৃতের স্ত্রী

গত ৬ সেপ্টেম্বর সক্রিয় বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই গুলিবিদ্ধ হন রামকৃষ্ণপুর গ্রামে।

বোলপুরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চান মৃতের স্ত্রী

মৃত স্বরূপের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে পুলিশের সামনেই গুলি করা হয়েছে। (প্রতীকী)

গত ৬ সেপ্টেম্বর বোলপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি (BJP) কর্মী ‌স্বরূপ গড়াইয়ের। বুধবার এই মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে (CBI) দেওয়ার আবেদন জানালেন তাঁর স্ত্রী। ৪৮ ঘণ্টা রাজ্য পুলিশ ও বিজেপির মধ্যে মৃতদেহ নিয়ে বিতণ্ডার পর শেষ পর্যন্ত স্বরূপের দেহ পায় তাঁর পরিবার। বুধবার বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া শ্মশানে। সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন নিহত বিজেপি কর্মীর। শেষযাত্রায় স্বরূপের পরিবারের পাশাপাশি বিজেপিও অংশ নিয়েছিল। বিপুল সংখ্যক বিজেপি কর্মীরা শবযাত্রায় অংশ নিয়ে নানুরের বাসাপাড়া পর্যন্ত হেঁটে যায়। সেখান থেকে গাড়িতে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া শ্মশানে।

মৃত স্বরূপের স্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আমার স্বামীকে পুলিশের সামনে গুলি করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে আমার স্বামী আমাকে জানিয়ে গিয়েছিলেন, যেন সিবিআই তদন্ত হয়। আমি সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।''

তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বিজেপি নেতাকে জেরা করবে পুলিশ

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক ঘণ্টা ছটফট করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। এক ঘণ্টা পরে একটি পুলিশ ভ্যান ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু আমাকে সে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলা হয়। আমার পুলিশের উপরে বিশ্বাস নেই। স্বাধীন তদন্তের জন্য আমি সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।''

খুনিদের গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় বিজেপি প্রশাসন। পুলিশকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে বিজেপির জেলা শাখার তরফে।

গণপিটুনি নয়,হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাবরেজ আনসারির: চিকিৎসক

গত ৬ সেপ্টেম্বর সক্রিয় বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াই গুলিবিদ্ধ হন রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। বীরভূমের ওই গ্রাম নানুর থানার অধীনে। শাসক দল তৃণমূ‌লকে ওই খুনের জন্য অভিযুক্ত করেছে বিজেপি। দু'দিন হাসপাতালে থাকার পর মারা যান স্বরূপ।

তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ বিজেপির সদর দফতরে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সোমবার রাতে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ।

এরপর নিহত স্বরূপের বাড়ির লোক পুলিশের বিরুদ্ধে দেহ ‘চুরি'র অভিযোগ জানায়।

এরপর পুলিশ এসডিপিও-র কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে বললে আবারও বচসা বাঁধে। অবশেষে বুধবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় স্বরূপের।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.