অদম্য লড়াইয়ের মানসিকতাই আর পাঁচ জনের থেকে আলাদা করেছিল বাবলুকে।
হাইলাইটস
- এলাকার ছেলে বাবলু সাঁতরার কথা এখন গোটা দেশ জানে
- কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে তাঁর
- শহিদ জওয়ানের স্ত্রী এবং চার বছরের শিশুর কথা ভেবে উদ্বিগ্ন বাউরিড়া
কলকাতা: বিচার চাইছে বাউড়িয়া। ক্ষোভে ফুটছে গোটা এলাকা। এই এলাকার ছেলে বাবলু সাঁতরার কথা এখন গোটা দেশ জানে। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গী আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে তাঁর। তারপর থেকেই বাউড়িয়ার মন ভাল নেই। স্থানীয়দের অনেকেই অন্য সব কাজ ফেলে শহিদ-পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। স্ত্রী এবং চার বছরের শিশুর কথা ভেবে উদ্বিগ্ন বাউড়িয়া। ছোট থেকে পরিশ্রম করে সুদিনের স্বপ্ন দেখা টোটন যে আর নেই সেটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না কারও। হামলার একটু আগেও এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছিলেন বাবলু। কয়েক ঘণ্টা বাদে আরও একটা ফোন আসে। ওদিক থেকে ভেসে আসা কণ্ঠস্বর বলে, জঈশ- ই– মহম্মদের নাশকতায় শেষ হয়ে গিয়েছে সব কিছু। আর কোনও দিন ফিরে আসবেন না বাবলু।
বছর খানেক বাদেই শেষ হত চাকরি জীবন। অবসরের সময় পাওয়া টাকা এবং নিজের সঞ্চয়কে একত্র করে ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবেছিলেন বাবলু। দীর্ঘ দিন বাড়ি ছাড়া বাবলু চেয়েছিলেন বাকি সময়টা পরিবারের কাছে থাকতে। তাই অন্য কোনও কাজ নয় ব্যবসা করার কথা ভেবেছিলেন।
দিল্লি বিমানবন্দরে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুল গান্ধী
হাওড়ার অন্যতম জনবহুল জনপথ বাউড়িয়া জানে তাঁর প্রথম জীবনের অনেকটাই । ছোট থেকে অদম্য লড়াইয়ের মানসিকতাই আর পাঁচ জনের থেকে আলাদা করেছিল বাবলুকে। পরিবারের অবস্থা ভাল নয় বলে বাজারে মাছ বিক্রি করে পড়াশুনো করতেন বাবলু। এরপর শুরু হয় সিআরপিএফ জীবন।স্বপ্নকে স্বার্থক করতে পরিশ্রম করেছিলেন আগে। আর এবার দেশ মাতৃকার জন্য প্রাণও বিসর্জন দিয়ে দিলেন বাবলু।
সীমান্তে দেশের কাজে যাওয়া বীরদের পরিবাররে নিত্যদিনের সঙ্গী অপেক্ষা। কবে একটা টেলিফোন আসবে সেটা ভাবতে ভাবতেই সময় কেটে যায়। আর তারই মধ্যে এসে পৌঁছয় শেষ খবরটা। অন্য দিনের মতো এখনও অপেক্ষায় দিন গুনছে বাউড়িয়া। তবে এবার আর হেঁটে বাড়ি ঢুকবেন না বাবলু। শেষবারের মতো নিজের বাড়ি আসবেন কফিনবন্দি হয়ে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)