কলকাতায় জরুরি অবতরণ করাতে হয় বিমানটিকে।
নিউ দিল্লি: ক্লাস টেনের ছাত্র শুভময় হালদার। ১৬ বছর বয়স। বিড়বিড় করে বলেই যাচ্ছে একটা কথা৷ "হিটার গরম হয়ে গেলে যেমন গন্ধ বেরোয়, তেমনই একটা গন্ধ বেরোচ্ছিল"। জয়পুর ও কলকাতার মধ্যে ওড়া ইন্ডিগোর এয়ারবাসের বাসিন্দা সে। সোমবার সন্ধেবেলার ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। কী ঘটেছিল সেদিন? তার সাক্ষী কেবল শুভময় একা নয়। তার সঙ্গে ছিলেন তার অভিভাবকরাও। ছিলেন আরও বহু যাত্রী। "আচমকা প্লেনের ভিতরটা ধোঁয়ায় ভরে গেল। জমাট ধোঁয়া। মিনিটের মধ্যে এতটাই ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারপাশ যে, কাউকে দেখা যাচ্ছিল না। প্রবল যন্ত্রণা করছিল চোখে", বলছিল সে।
ঘটনার সূত্রপাত আকাশে। বিমানটি মাটি ছোঁয়ার ২৫ মিনিট আগে।
শুভময় জানায়, "পাইলট ঘোষণা করেছিলেন যে, প্লেনটি খুব তাড়াতাড়িই মাটি ছোঁবে। ওই সময়ই আমি পোড়ার গন্ধ পাই। কেবিনটাও ধোঁয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে"।
শচীন পাইলট না অশোক গেহলৌত? কে হবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী? উত্তেজনা তা নিয়ে
আজ, ভারতের সবথেকে বড় বিমানসংস্থা ইন্ডিগো জানায়, সেদিন ইঞ্জিনে খুব গুরুতর একটি ব্যাপার ঘটেছিল। যার ফলে গোটা বিমান ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
এনআরসি তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার শেষ তারিখ বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
"বায়ু সিস্টেম থেকে তেল বেরিয়ে যাওয়ার ফলে গোটা বিমান ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল", জানানো হয়েছে বিমানসংস্থার পক্ষ থেকে। যদিও, বিমানটিতে যে কোনও অগ্নিকাণ্ড হয়নি, তাও জানায় তারা স্পষ্টভাবেই।
যদিও, বিমান ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ার আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা। মোট ১৩৬ জন যাত্রী ছিলেন ওই সময় বিমানটিতে। কিন্তু এই ঘটনার ফলে বিমানটি একরকম বাধ্য হয় জরুরি অবতরণ করতে, দমদম বিমানবন্দরে।