বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনি সভায় ওই মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধি।
নয়াদিল্লি: বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানালেন রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi)‘রেপ ইন ইন্ডিয়া' (Rape In India) মন্তব্যের জন্য। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনি সভায় ওই মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধি। স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, ‘‘রাহুল গান্ধি ধর্ষণকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি পদক্ষেপ করার জন্য।'' শুক্রবার সংসদে বিজেপি নেতারা রাহুলের মন্তব্যের বিপুল প্রতিবাদ করেন। সংবাদিকদের স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘‘এই প্রথম একজন রাজনৈতিক নেতা ধর্ষণকে রাজনৈতিক বিদ্রুপের জন্য ব্যবহার করলেন। ধর্ষণকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন যে রাজনীতিবিদরা তাঁদের কনা শাস্তি হওয়া উচিত। উনি বলেছেন, সমস্ত পুরুষ ধর্ষক। উনি বলেছেন মহিলাদের ভারতে ধর্ষণ করা উচিত। আমরা বলেছি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া', উনি বলেছেন ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া'। আমি জনতার কাছে জানতে চাই, এটা কি ঠিক? আমি মানুষের কাছে ছেড়ে দিতে চাই শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটা।''
‘‘ক্ষমা চাইব না'', বিতর্কিত ‘‘রেপ ইন ইন্ডিয়া'' মন্তব্য প্রসঙ্গে জানালেন রাহুল গান্ধি
এদিন বারবার লোকসভা মুলতুবি হয়ে যায় সরকারি বেঞ্চের প্রতিবাদ ও ‘শেম' ধ্বনিতে।
লোকসভায় রাহুল গান্ধিকে কোনও উত্তর দেওয়ার অনুমতি দেননি স্পিকার। তিনি বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি ক্ষমা চাইব না... আমাকে ব্যাখ্যা করতে দিন যা আমি বলেছি। আমি বলেছি প্রধানমন্ত্রী কথা বলে চলেছেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া' নিয়ে। সুতরাং যখন কেউ খবরের কাগজ খোলেন তিনি আশা করেন এই সংক্রান্ত কোনও খবর দেখবেন। কিন্তু কাগজ খুললে আমরা কী দেখতে পাই? আমরা দেখি বহু ধর্ষণের মামলা।''
তেলেঙ্গানা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট
তিনি অভিযোগ করেন, নাগরিকত্ব বিল ও উত্তর-পূর্বের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থেকে মানুষের নজর সরাতেই এমন করছে্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি।
বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি এদিন সংসদে বলেন,"সমস্ত পুরুষই ধর্ষক নয়, ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া' বলে আসলে গোটা ভারতকেই অপমান করেছেন তিনি ... রাহুল গান্ধি ৫০ ছুঁতে চলেছেন এবং এখনও তিনি বুঝতে পারেন না যে তাঁর এই জাতীয় বক্তব্যে আসলে ভারতে ধর্ষণকে স্বাগত জানানো হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে"।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘যাঁরা এই ধরনের মন্তব্য করেন, তাঁদের এই কক্ষের সদস্য হওয়ার কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।''