Read in English
This Article is From Jun 12, 2019

বাংলায় চোরাচালান চক্রের হদিশ, সোনা, গয়না, মাদক মিলিয়ে ৩.৩১ কোটি টাকার চোরাই মাল আটক

শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা যাবার বাস থেকে মিলল আট কেজি সোনা, ৭৪ কেজি রুপোর গয়না ও তিন কেজি মাদক। DRI ধরে ফেলল এক চোরাচালান সিন্ডিকেটকে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ভুটান থেকে চোরাই সোনা আসছিল কলকাতায় (প্রতীকী ছবি)

Highlights

  • শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা যাবার বাসে মিলল ৩.৩১ কোটির চোরাই মাল।
  • ধরা পড়ল এক চোরাচালান চক্র।
  • চক্রের মূল চাঁই কলকাতার মামা-ভাগ্নে যুগল।
কলকাতা:

শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে কলকাতা (Kolkata) যাবার বাস থেকে মিলল আট কেজি সোনা, ৭৪ কেজি রুপোর গয়না ও তিন কেজি মাদক। ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেনিজেন্স (DRI) ধরে ফেলল এক চোরাচালান সিন্ডিকেটকে। রীতিমতো ‘কর্পোরেট' ঢঙে চোরাচালানের কাজ চালাত ওই গোষ্ঠী। আটক চোরাই মালের মূল্য ৩.৩১ কোটি টাকার। অভিযুক্ত ছ'জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ওই গোষ্ঠীর নেতা ও তার ভাগ্নে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন সময়ে আটক ৩৬০ কেজি সোনা যার মূল্য ১০৮ কোটি টাকারও বেশি, সেগুলির চোরাচালানে নাম জড়িয়েছে ওই দু'জনের। এক বিবৃতিতে এমনই জানানো হয়েছে। পরে তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই নেতা রীতিমতো কর্পোরেট ঢঙে ওই চোরাচালান ‘সংগঠন' চালাত। টাকা ও কর্মচারীদের সামলানোর জন্য আলাদা আলাদা বিভাগ ছিল।

২ জুন সারদা মামলায় রাজীব কুমারের আবেদন শুনবে কলকাতা হাইকোর্ট

গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পরে অবশেষে ধরা পড়ল দলের চাঁই। বহু সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সোনা চোরাচালান ওই মামা-ভাগ্নে যুগল।

Advertisement

রবিবার শিলিগুড়ি থেকে কলকাতাগামী ওই বাসে চোরাই মাল থাকার খবর পেয়ে ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে বাসটিকে আটক করা হয়। ২.৭১ কোটি টাকার আট কেজি সোনা আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি নগদ ২৪,০০০ টাকাও পাওয়া গিয়েছে।

বীরভূমে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ, আক্রান্ত পুলিশ

Advertisement

DRI এক বিবৃতিতে জানায়, ‘‘ওই সোনা ভুটান থেকে চোরাচালান হয়ে কলকাতায় আসছিল।'' সোনার বিস্কুটের পাচার হত চিন থেকে, তাও জানা যায় ওই বিবৃতি থেকে। রুপোর নেকলেস, পেন্ডেন্ট, দুল, আংটি ইত্যাদি বাগডোগরা বিমান বন্দরে আনা হয়েছিল ব্যাঙ্কক থেকে, তদন্তে তেমনটাই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থা।বাসের মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে ৩ কেজি মারিজুয়ানাও উদ্ধার করা হয়েছে। নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্টের অধীনে ওই মারিজুয়ানা আটক করা হয়েছে। প্রথমে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত চালিয়ে DRI সল্ট লেক ও বাঙ্গুর অ্যাভিনিউয়ের দু'টি ঠিকানা পায়। জানা যায় ওই ঠিকানাতেই সন্ধান পাওয়া যাবে দলের দুই চাঁইকে।

জিজ্ঞাসাবাদের পরে এক ধৃত স্বীকার করে নেয়, ভুটান থেকে ৮ কেজি সোনা ক্রয় করে এক ব্যক্তি এবং নিযুক্ত চোরাচালানকারীকে ওই সোনা দেওয়া হয় কলকাতায় পাচার করার জন্য। প্রতি কেজির জন্য ৬,০০০ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৫০,০০০ টাকা সে পেত ওই চোরাচালান সম্পন্ন হলে।

Advertisement

ভারত-বাংলদেশ, ভারত-বার্মা, ভারত-ভুটান বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে সোনাগুলি চোরাচালান হতে বলে জানা গিয়েছে। নানা দালাল ও চোরাচালান বাহকের মাধ্যমে ওই সোনা চোরাচালান চলত।

Advertisement