শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পর থেকেই এই ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধী দলগুলি।
হাইলাইটস
- এ ব্যাপারে আলোচনা করতে চেয়ে রাজ্যসভায় নোটিশ দিল তৃণমূল
- এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে আগেই নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি
- বিজেপির দাবি নতুন করে কিছুই করা হয়নি
নিউ দিল্লি: কম্পিউটার এবং মোবাইল তথ্য নজরদারিকে কেন্দ্র করে দানা বাঁধা বিতর্ক এবার সংসদে পৌঁছল। এ ব্যাপারে আলোচনা করতে চেয়ে রাজ্যসভায় নোটিশ দিল তৃণমূল। আজই আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা হচ্ছে। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা চাইল তৃণমূল। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই এই ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধী দলগুলি। তবে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সকারের দাবি নতুন করে কোনও কিছু করা হয়নি। নাগরিকদের কম্পিউটার এবং মোবাইলের তথ্য নজরদারি চালানোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছিল আগেই।
বুলন্দশহরে পুলিশ আধিকারিকের খুনি ধৃত
দিন কয়কে আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব রাজিব গৌবের সই করা একটি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসে। তাতে বলা ছিল এখন থেকে দশটি তদন্ত সংস্থা দেশের যে কোনও কম্পিউটারের উপর নজরদারি করতে পারবে সিবিআই থেকে শুরু করে আইবি বা এনআইএ-র মতো দশটি সংস্থা। একই ক্ষমতা থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের কমিশনারের হাতেও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি।বিরোধীদের দাবি এ ধরনের পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাতে চাইছে। তারা চায় ভারত ধীরে ধীরে নজরদার রাষ্ট্র হয়ে উঠুক।
বিরোধীদের পাল্টা আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তৈরি করা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে।
কংগ্রেস ও এআইএডিএমকে সভা ছেড়ে বেরোনোর পর তিন তালাক বিল পাশ হল লোকসভায়ঃ ১০ টি তথ্য়
এর আগে ফোনের উপর নজরদারি করতে পারত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু এখন আইবি থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি তদন্ত সংস্থার ক্ষমতা বাড়ানো হল। তার মধ্যে ‘র'-এর মতো সংগঠনও আছে।