আমি এবং আমার দল জেএনইউ'র পড়ুয়াদের পাশে আছি: আসাউদ্দিন ওয়েসি ((ফাইল)
হাইলাইটস
- পড়ুয়াদের প্রতিবাদী কণ্ঠকে কে ভয় পাচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন হায়দরাবাদের ওই সাংসদ
- পড়ুয়ারা সাহস করে প্রতিবাদ করেছিলেন। তার শাস্তি দিতে এই নৃশংস হামলা!
- আমি এবং আমার দল জেএনইউ'র পড়ুয়াদের পাশে আছি: আসাউদ্দিন ওয়েসি
হায়দরাবাদ: জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় বা জেএনইউ (JNU)-র হামলায় নিন্দা ব্যক্ত করে আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে সাংসদ (MP) আসাউদ্দিন ওয়েসি। সোমবার হায়দরাবাদের এই এআইএমইএম (AIMIM) সাংসদ, নাম না করে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল বিজেপিকে তোপ দাগেন। টুইটে তিনি বলেছেন, প্রতিবাদী ছাত্রদের কণ্ঠ যারা শুনতে চায় না, এই জঘন্য কাজ তারাই করেছে। সোমবার ওই সাংসদের টুইট, 'পড়ুয়ারা সাহস করে প্রতিবাদ করেছিলেন। তার শাস্তি দিতে এই নৃশংস হামলা! এটা এতটাই ঘৃণ্য হামলা, যে দু'জন অসহায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাধ্য হয়েছেন বিরোধিতা করে টুইট করতে।মোদি সরকার জবাব দিক, গুণ্ডাদের শায়েস্তা করতে পুলিশ কেন সক্রিয় হয়নি?'
সেই টুইটে তিনি জুড়েছেন, আমি এবং আমার দল জেএনইউ'র পড়ুয়াদের পাশে আছি। পড়ুয়াদের প্রতিবাদী কণ্ঠকে কে ভয় পাচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন হায়দরাবাদের (Hyderabad) ওই সাংসদ।
জেএনইউ ছাত্র সংসদ সূত্রে অভিযোগ, রবিবার রাতের দিকে হাড়হিম করা সন্ত্রাস প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলে। একাধিক মুখোশধারী 'অভিযুক্ত' ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালায়। হামলা চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের ওপর। এই ঘটনা অবাধে চললেও পুলিশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বাধা আসেনি। এমনই অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের সামনে করেছেন আক্রান্ত পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির হাত আছে। যদিও এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বলে দায় এড়িয়ে গেছে ওই ছাত্র সংগঠন। এদিকে দিল্লির এইমস সূত্রে খবর,পড়ুয়া ও অধ্যাপক মিলিয়ে প্রায় ২৮ জন চিকিৎসাধীন। যাঁদের মধ্যে প্রায় ৭-৮ জনের অবস্থা আঙ্কাজনক। তালিকায় রয়েছেন ছাত্রসংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষও।
দিল্লি পুলিশ বলেছে, সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। একাধিক অপরাধকে জুড়ে একটাই এফআইআর দাখিল করা হয়েছে । বলিউড থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য (নির্মলা সীতারমন আর এস জয়শঙ্কর) এবং বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। রবিবার রাতেই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি আর সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাট আহতদের দেখতে এইমস গিয়েছিলেন। রিপোর্ট তলব করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি পুলিশকে তৎপর হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
(PTI থেকে সংগৃহীত)