হাইলাইটস
- বাম দলগুলির সঙ্গে জোট গড়ার আহ্বান জানালেন সোমেন মিত্র।
- শনিবার রাজ্যের নির্বাচিত সাংসদদের সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান ছিল।
- সেখানেই ওই আহ্বান জানান সোমেন।
কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ও বিজেপির (BJP) বিকল্প হিসেবে বাম দলগুলির সঙ্গে জোট গড়ার আহ্বান জানালেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র (Somen Mitra)। শনিবার বিধান ভবনে কংগ্রেসের সদর দফতরে দলের দুই সদ্য নির্বাচিত সাংসদকে সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে ওই দাবি জানান সোমেন (Somen Mitra)। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকারের অপশাসনের সঙ্গে লড়াই করবে এমন এক জোটের দিকে তাকিয়ে জনতা। কংগ্রেস ও বাম দলের জোট ব্যর্থ হওয়ার পরে মানুষ শাসক দলের বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে বেছেছে। যদি আমরা (কংগ্রেস ও বাম) বিকল্প মঞ্চ গড়ে তুলতে পারি, মানুষ আমাদের হতাশ করবে না।'' ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট গড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই জোট সফল হয়নি। ক্ষমতায় পুনর্বহাল হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। দুই দল এবারের লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা করার ব্যাপারে আলোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি।
সন্দেশখালিতে চাপা উত্তেজনা, “নিখোঁজ”দের খোঁজে পুলিশের তল্লাশি জারি
সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান কিছুটা হলেও তার জৌলুস হারায়, কেননা অন্যতম নির্বাচিত সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী অনুষ্ঠানে আসেননি। টানা পাঁচবারের জন্য মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে অধীর দিল্লি গিয়েছেন ‘ব্যক্তিগত' কারণ দেখিয়ে। কংগ্রেস নেতারা যখন রাজ্যের সংগঠনকে মজবুত করে তুলতে চাইছেন, তখন অধীর সেই অনুষ্ঠানেই অনুপস্থিত থাকলেন। অপর নির্বাচিত সাংসদ মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজয়ী আবু হাসেম খান চৌধুরী অবশ্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।
কংগ্রেস এবারের লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে। মাত্র দু'টি আসন পেয়েছে তারা। গতবারের তুলনায় অর্ধেক আসন পেয়েছে কংগ্রেস। অধীরের না আসার ব্যাপারে সোমেন বলেন, ‘‘আমরা বাংলার দুই সাংসদকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমি অধীরের সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু ওকে দিল্লি যেতে হচ্ছে খুব দরকারি একটা ব্যক্তিগত কারণে। আমরা বিহারের কৃষ্ণগঞ্জের একমাত্র সাংসদ মহম্মদ জাভেদকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁর লোকসভা কেন্দ্রে কোনও সমস্যার জন্য তিনিও আসতে পারেননি।''
বাংলায় বিজেপি-আরএসএসের উত্থানের জন্য দায়ী মমতা: সোমেন মিত্র
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস হাই কমান্ড সোমেন মিত্রকে দলের পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের সভাপতি নির্বাচিত করে অধীরকে সরিয়ে। অধীরকে চেয়ারম্যান করা হয়।
সোমেন মিত্র বলেন, ‘‘রাজ্যে দলের খারাপ ফলের পিছনে দুর্বল সাংগঠনিক শক্তি এবং নেতা ও কর্মীদের দিক দিয়ে জনসংযোগের অভাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জোট গড়ে বা একা তা গড়ে তুলতে পারি।''
রাজ্য সংগঠনের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠকও ডেকেছেন সোমেন মিত্র। আগামী ১৫ জুন ওই বৈঠকে দলের রোড ম্যাপ তৈরি হবে। আবু হাসেম খান চৌধুরীকেও দলের জনসংযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে বলা হয়। এছাড়াও দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈকেও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। তিনি অসমের কালিয়াবর লোকসভা থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য জয়ী হয়েছেন।