দশবারের সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় সোমবার প্রয়াত হলেন কলকাতায়।
হাইলাইটস
- সোমনাথ চ্যাটার্জি সিপিএম-এর একজন বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন
- 1984 সালে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে তিনি ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন
- 1968 সালে তিনি পার্টিতে অংশ গ্রহণ করে ছিলেন
কলকাতা: লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা বামফ্রন্ট সাংসদ ও অধুনা দল থেকে নির্বাসিত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় শেষ কয়েকটি বছর কাটিয়ে ছিলেন অন্তরালে। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে দলের কর্মী পদে থাকার পর 2008 সালে ‘পার্টিলাইন না মেনে চলার কারণে’ সিপিএম থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।
তিনিই প্রথম শীর্ষস্থানীয় সিপিএম নেতা হিসেবে দলের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেন। এমনকি, তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক গুরু পশ্চিমবঙ্গের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ সামনে থাকা সত্ত্বেও দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে সেই পদ গ্রহণ করেননি।
গত দু’মাস বাড়ি ও হাসপাতাল করতে থাকা প্রবল অসুস্থ দশবারের সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কলকাতার বেলভিউ ক্লিনিকে। গত 8 অগস্ট বেলভিউতে ভর্তি হন তিনি।
একদা দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ ও সংসদের স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ইউপিএ সরকারের আমলে ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস ও তাদের জোটশরিক সিপিএমের দ্বন্দ্বের সময় দলের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে স্পিকার পদে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যে সিদ্ধান্তকে 'দলবিরোধী' অ্যাখা দিয়ে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।
কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া(মার্কসবাদী)-র চিরকালীন কর্মী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে 2008 সালের জুলাই মাসে সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার পর 21 জুলাই লোকসভার অধিবেশন শুরুর দু'দিন আগেই স্পিকার পদটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় তাঁর দল। কিন্তু বিলেত ফেরত এই ব্যারিস্টার দলের নির্দেশ নাকচ করে বলেন, স্পিকার পদটি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তাই তিনি সরবেন না। ওই সময় দলের অণ্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা সহ তাঁর রাজনৈতিক গুরু জ্যোতি বসুও দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে। কিন্তু, সোমনাথ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই পদটিতে থেকে যাওয়ার।
.