This Article is From May 28, 2019

বিজেপিতে মুকুল-পুত্র, যোগ দিলেন আরও দুই বিধায়ক

বেশি সংখ্যায় কাউন্সিলররা শিবির বদল করায় এই সমস্ত পুরসভার দখল বিজেপির হাতে চলে  আসবে বলে দাবি  মুকুলের।

বিজেপিতে মুকুল-পুত্র, যোগ দিলেন আরও দুই বিধায়ক

হাইলাইটস

  • বিজেপিতে যোগ দিলেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়
  • চারটি পুরসভার বেশির ভাগ কাউন্সিলরও শিবির বদল করলেন
  • ভাটপাড়া নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহরের কাউন্সিলররা দলবদল করেছেন

বিজেপিতে যোগ  দিলেন মুকুল রায়ের (Mukul  Roy) পুত্র  শুভ্রাংশু পুত্র। একই সঙ্গে  আরও দুই  বিধায়ক বিজেপিতে যোগ  দিলেন।  চারটি পুরসভার বেশির ভাগ কাউন্সিলরও শিবির বদল করলেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া (Bhatpara)  নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা দলবদল করেছেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ষোলো। বেশি সংখ্যায় কাউন্সিলররা শিবির বদল করায় এই সমস্ত পুরসভার দখল বিজেপির হাতে চলে  আসবে বলে দাবি  মুকুলের। এদিন দল বদল করেছেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং হেমতাবাদের সিপি(আই)এম বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। বিজেপি নেতা  মুকুল রায় এবং নির্বাচনের সময়ে বিজেপির পক্ষে এরাজ্যের দায়িত্বে থাকা বর্ষীয়ান নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে এই যোগদান সম্পন্ন হয়। 

প্রসঙ্গত, তৃণমূল থেকে থেকে বেরিয়ে আসার পরে মুকুল রায়েরই উদ্যোগে বিজেপি এরাজ্যে ধীরে ধীরে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে (National Election 2019) রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। যেখানে ২০১৪ সালে তারা মাত্র ২টিতে জয়লাভ করেছিল। এই জয়ের ফলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাবনা ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। 

গত এপ্রিলে কলকাতার কাছেই এক মিছিলে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘দিদি, ২৩ মে ফলপ্রকাশের পরে সর্বত্র পদ্ম ফুটবে। এবং আপনার বিধায়করা আপনাকে ছেড়ে পালাবে। এমনকী, এই মুহূর্তে আপনার ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দিদি।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে বলেছিলেন, ‘‘অন্তত একজনকে দেখান।'' মোদী সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর দল দরাদরির অভিযোগ আনে মোদীর বিরুদ্ধে। 

সেই প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের কৈলাস  বলেন, বাংলার একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক আমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক'ও ব্রায়েন বলেছিলেন বিধায়ক  তো কোন ছাড়, একজন কাউন্সিলরও দল বদল করবেন না। কিন্তু এখানে ৫০ জনের  বেশি কাউন্সিলর আছেন। বিধায়ক আছেন তিন জন। পরের মাস থেকে আরও অনেকে যোগ  দেবেন বিজেপিতে। বাংলায় সাত দফায় নির্বাচন হয়েছিল। পরের মাসে আমরাও সাত দফায় যোগদান কর্মসূচি পালন করব।

তাঁরা কি বাংলার সরকার ভেঙে দিতে  চান?  উত্তরে কৈলাশ বলেন, ‘ আমরা চাই ২০২১ সালেই বাংলায় বিজেপির সরকার হোক। মুখ্যমন্ত্রী যাতে  তাঁর মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকেন তার জন্য আমাদের শুভ কামনা রইল। কিন্তু ওঁর নিজের লোকেরা ওঁকে ছেড়ে চলে এলে আমাদের কোনও দোষ থাকবে না।' এই সাংবাদিক সম্মলেন থেকেই মুকুল বলেন। তৃণমূলের আরও অনেকে বিজেপিতে আসতে  চাইছেন। তাঁরা সকলেই তৈরি। 

এই সাংবাদিক সম্মলেন থেকেই মুকুল বলেন তৃণমূলের আরও অনেকে বিজেপিতে আসতে  চাইছেন। তাঁরা সকলেই তৈরি। তবে কৈলাস জানান সবাইকে নেওয়া হবে না। বেছে  বেছে  দলে  নেবে বিজেপি। এদিকে এ  নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল।  দলের  নেতা  তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন একটি দল  কিছু আসন  পেয়েছে  বলেই সেখানে যারা যোগদান করছে তারা আদর্শের  রাজনীতি করে না। আদর্শ থাকলে  জীবন দিতে দেওয়া যায়। অন্যদিকে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এই যোগদান মানসিক ভাবে যোগদান করা নয়। ওটা আলাদা জিনিস  আর রিভালভারের ভয়ে যোগদান করা আরেক জিনিস। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আমরা কী পারি সেটা ২০২১ সালে দেখিয়ে দেব।

.