This Article is From May 29, 2020

সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের কড়া জবাব দিলেন 'র‍্যাঞ্চো'! চিনা পণ্য বয়কটের ডাক

তাঁর অভিযোগ, "এমন আগ্রাসন নীতি চিন শুধু ভারত নয়, অন্য পড়শি দেশের সঙ্গেও চালিয়ে গিয়েছে। ভিয়েতনাম, তাইওয়ান আর হংকংয়ের মতো দেশও চিনের উপদ্রবে বিরক্ত।"

সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের কড়া জবাব দিলেন 'র‍্যাঞ্চো'!  চিনা পণ্য বয়কটের ডাক

থ্রি- ইডিয়টস ছবির 'র‍্যাঞ্চো' চিনকে সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে কটাক্ষ করলেন।

ইন্দো-চিন সীমান্তে এলএসি (LAC Dispute) বরাবর পিএলএ'র আগ্রাসন নিয়ে এবার মুখ খুললেন সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)। শিক্ষাবিদ তথা ম্যাগসাইসাই পুরস্কারজয়ী এই সোনমের কাহিনী নিয়ে তৈরি ছবি থ্রি-ইডিয়টস (3 idiots)। অর্থাৎ সেই ছবির র‍্যাঞ্চোই (Rancho on Chin) বাস্তবের সোনম ওয়াংচুক। শুক্রবার তিনি কড়া ভাষায় চিনা আগ্রাসনের সমালোচনা করলেন।পাশাপাশি চিনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন সোনম। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি। সেই ভিডিওতে স্পষ্ট ভাষায় বেজিংয়ের সমালোচনা করেন সোনম। তিনি বলেছেন, "সীমান্তে ভারতীয় সেনা বুলেট দিয়ে আর নাগরিকরা ওয়ালেট দিয়ে জবাব দেবে। আমাদের অবিলম্বে উচিত চিনা পণ্য বর্জন করা। প্রতি বছর ভারত চিনের ৫ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য ক্রয় করে। সেই টাকা সামরিক খাতে বরাদ্দ করে চিন। আমরা, ভারতীয়রা সেই পণ্য কেনা বন্ধ করলে, লোকসানের মুখে পড়বে চিনা রফতানি। আর্থিক মন্দার চাপে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনায় রাজি হবে তারা" 

vcblr0lc

তাঁর অভিযোগ, "এমন আগ্রাসন নীতি চিন শুধু ভারত নয়, অন্য পড়শি দেশের সঙ্গেও চালিয়ে গিয়েছে। ভিয়েতনাম, তাইওয়ান আর হংকংয়ের মতো দেশও চিনের উপদ্রবে বিরক্ত।" তাঁর দাবি,"অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো থেকে নজর ঘোরাতে এভাবে আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো উসকে দেয় চিন।" চিন সরকার তাদের নাগরিককে ভয় পায়। সে দেশে শ্রমিক অধিকার ছাড়াই কাজ করানো হয়। এক অংশ বিত্তবান হয় আর এক অংশ দরিদ্র হয়। ফলে মানুষের মনে চাপা অসন্তোষ। ১৪০ কোটিড় জনসংখ্যা নিয়ে চিন এমনিতেই নাস্তানাবুদ। তাই নাগরিক বিদ্রোহের আঁচ থেকে বাঁচতে এসব করে নজর ঘোরাতে চায়। এমন দাবিও সেই ভিডিওতে করেছেন সোনম। তাঁর মতে, "করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মক্ষেত্র বন্ধ ছিল। ফলে প্রায় ২০% মানুশ নতুন করে বেকার হয়েছে। যে কোনও সময় অভ্যুথানের আশঙ্কা দূর করতে মানুষকে একজোট করতে ভারত সীমান্তে আগ্রাসন শুরু করেছে চিন।" ১৯৬২ সালেও একইভাবে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিল চিন। 

তাঁর আবেদন, "অবিলম্বে আমরা চিনা পণ্য বয়কট শুরু করি। কারণ একদিকে আমাদের সৈন্যরা সীমান্তে যুদ্ধ করবে আর চিনের পণ্য কিনে আমরা বেজিংয়ের হাত শক্ত করব, এটা চলতে পারে না।" 

on2h7glo

এদিন তিনি যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তাতে তিনি উল্লেখ করেন, "আমি ফোন থেকে টিকটক আর শেয়ার চ্যাটের মতো অ্যাপস আনইনস্টল করে দিয়েছি। আপনারাও সেই পথে হাঁটুন।"  

দেখুন সেই ভিডিও:

.