Sonbhadra shootout: টানা আধঘণ্টা ধরে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়
হাইলাইটস
- ওই গণহত্যার আগের মুহূর্তগুলোই দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে
- একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর ট্রাক্টর সারি দিয়ে দাঁড় করানো সেখানে
- গ্রামবাসীদের আত্মরক্ষার সুযোগ না দিয়েই গুলি চালানো হয়
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)সোনভদ্র-য় (Sonbhadra) জমি নিয়ে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় (10 people were shot dead) প্রায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। এই সময় প্রকাশ্যে এল দুটি ভিডিও যাতে দেখা যাচ্ছে গত ১৭ জুলাই ঠিক কী ঘটেছিল লখনউ থেকে মাত্র ১০ ঘণ্টা দূরত্বের ওই গ্রামটিতে। এই ভিডিওগুলোতে গণহত্যার ঠিক আগের মুহুর্ত ধরা পড়েছে, যেখানে গ্রামের কৃষকদের একটি দলের উপর গুলি চালানো হয়, কেননা তাঁরা পূর্বপুরুষ ধরে চাষ করে আসা ৩৬ একর জমির অধিকার ছাড়তে চাননি। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে ওই গণহত্যা (UP Shootout) হয়েছে সেখানে গ্রামের মধ্যে অনেকগুলি ট্রাক্টর লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা রয়েছে। ওই দৃশ্যতে দেখা যাচ্ছে গ্রামের কৃষকদের আত্মরক্ষার কোনও সুযোগ না দিয়েই নির্বিচারে গুলি করা হয় তাঁদের।
জমি নিয়ে বিবাদ, গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪ মহিলাসহ ৯ জনের মৃত্যু
পরে দেখা যায় যে, ওই গণহত্যার ঘটনার মূল অভিযুক্ত তথা গ্রামপ্রধান যজ্ঞ দত্ত, ৩২ টি ট্রাক্টরে ২০০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে নিয়ে সেখানে আসে। তাঁর দাবি, বছর দশেক আগে তিনি স্থানীয় এক পরিবারের কাছ থেকে ওই জমি কিনেছিলেন এবং এই জমির মালিক বর্তমানে তিনি।
আরও ভয়ানক ঘটনা দেখা যায় অন্য ভিডিওটিতে, যেখানে হাতে লাঠি নিয়ে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। ওই বিশৃঙ্খলার মধ্যে গুলির শব্দও শোনা যায়। একজন মানুষকে মাটিতে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। “পুলিশকে খবর দাও, পুলিশকে খবর দাও”, আতঙ্কে এক মহিলাকে চিৎকার করতে শোনা যায় ভিডিওটিতে। পরে জানা যায়, প্রায় আধঘণ্টা ধরে ওই গ্রামে এক তরফাভাবে গুলি চালিয়ে গণহত্যা করে ওই দুষ্কৃতীরা।
ওই হত্যালীলার (Sonbhadra firing) প্রায় আধ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁদের দেরিতে পৌঁছনো নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। অথচ এরকম একটি ঘটনা যে ঘটতে পারে তার আগাম আভাষ নাকি পুলিশের কাছে ছিল বলেই জানা গেছে।
উত্তরপ্রদেশ গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার সাক্ষাৎ করল প্রিয়ঙ্কা গান্ধির সঙ্গে
সোনভদ্র কাণ্ডের যে ভিডিও দুটি প্রকাশ্যে এসেছে সেগুলি ওই গ্রামের এক বাসিন্দা তুলে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।
"ওরা এসেই গুলি চালাতে শুরু করে। মানুষ পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাঁদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়ও ওরা। এটা সাঙ্ঘাতিক একটা আতঙ্কের ঘটনা ছিল" , এক মহিলা গত সপ্তাহে এনডিটিভিকে জানান এ কথা।
"আমরা জানতাম না যে ওরা বন্দুক নিয়ে এসেছে। যখন ওরা গুলি চালাতে শুরু করে, তখন আমরা (নিজেদের বাঁচাতে)এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছিলাম, পুলিশকে ফোন করা হয়েছিল। পুলিশ এক ঘণ্টা পর এসেছিল। প্রায় আধঘণ্টা ধরে গুলি চালায় ওরা", বলেন তিনি।
প্রকাশ্য দিবালোকে এই নারকীয় ঘটনা ঘটলেও অনেক দেরিতে ওই গ্রামে যান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর যাওয়ার অনেক আগে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি ওই গ্রামে পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ওই কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে “কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন” করতেই সেখানে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা এবং গোটা ঘটনাকে “একটা বড়সড় রাজনৈতিক চক্রান্ত” বলে ব্যাখ্যা করেন যোগী।