This Article is From Aug 07, 2019

Cancer Survivor’s Day: নিয়তিকে হেলায় হারিয়ে মারণ রোগের বিরুদ্ধে জয়গানের দিন

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গানে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিধির বাঁধন কাটবে তুমি এমন শক্তিমান, তুমি কি এমনি শক্তিমান?

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by

মারণরোগের বিরুদ্ধে জীবনের জয়গান

কলকাতা:

একটা সময় ক্যান্সার শব্দটা শুনলেই মুখ শুকিয়ে যেত সবার। রোগের নাম কানে আসলেই শেষ দিন গোণা শুরু করতেন রোগী। সে সময়ে ক্যান্সার হ্যাজ নো আনসার। এনও ক্যান্সার বিভীষিকা মানুষের কাছে। তবে আর যম নয়। কারণ, এখন ক্যান্সার হ্যাজ আনসার। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এরটি গান।যেখানে প্রশ্ন ছিল, বিধির বাঁধন কাটবে তুমি এমন শক্তিমান, তুমি কি এমনি শক্তিমান? কবির লেখা এই স্বদেশি গানকেই একটু ফিরিয়ে বোধহয় বলা যায়, সত্যিই বিধির বাঁধন কাটার মতোই শক্তিমান হয়েছে মানুষ, বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র। যার জোরে মারণ রোগ ক্যান্সারকে হেলায় হারিয়ে জীবনযুদ্ধে জিতে ফিরছে রোগী। যাঁদের আমরা সম্মান দিয়ে বলি, ক্যান্সার ক্রুসেডার (Cancer Survivor's Day)। বুধবার, অর্থাৎ আজ তাঁদের জয়গানের দিন। তাঁদের জন্য কলকাতা ব্রেস্ট হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (Kolkata Breast Health and Welfare Association) আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের।

অনুষ্ঠান শুরু হবে উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে। এরপরেই মঞ্চস্থ হবে সংস্ট্রেস নৃত্যনাট্য (Songstress)। ড. দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় গানে গানে জানাবেন নটী বিনোদিনী, আঙুরবালা, ইন্দুবালা, কানন দেবী, ছায়াদেবী, সুশীলা সুন্দরী, কেয়া চক্রবর্তীর মতো বিরল প্রতিভাদের জীবনযুদ্ধের কাহিনি। নাচে অংশ নেবেন সৌমিলি বিশ্বাস, দেবলীনা কুমার, রুবেনা চট্টোপাধ্যায়। ভাষ্যপাঠে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, চৈতালি দাশগুপ্ত। প্রসঙ্গত, সৌমিত্রবাবু নিজেই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে প্রতিদিন নতুন করে বাঁচছেন।

গান ভালোবেসে গাইতে এই প্রথম একজোট এই প্রজন্মের শিল্পীরা

প্রসঙ্গত, কলকাতা ব্রেস্ট হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে কর্কট রোগে আক্রান্তদের পাশে থেকে তাঁদের লড়াইয়ের রসদ জুগিয়ে চলেছে কখনও ওষুধ, কখনও সেবা, কখনও পরামর্শ দিয়ে। এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কলকাতার বহু বিশিষ্ট অংকোলজিস্ট এবং ক্যান্সার চিকিৎসক। সংস্থার একটাই লক্ষ্য, সমাজকে সচেতন করে মারণরোগের মুখে থেকে আক্রান্তদের জীবনের পথে ফিরিয়ে আনা।

Advertisement
Advertisement