গত ফেব্রুয়ারিতেই সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি
নয়া দিল্লি: রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) কংগ্রেস প্রধানের পদ ছাড়ার পর সাময়িক সঙ্কট তৈরি হয় কংগ্রেস দলে, তবে শনিবারের অভ্যন্তরীণ বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে রাহুল গান্ধি জানান যে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের (New Congress Chief) জন্য দলকে একটি মুক্ত পরিবেশ দিতে চান তিনি, তাই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত তাঁর। রাহুল গান্ধির সঙ্গেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন সনিয়া গান্ধিও (Sonia Gandhi)। তাঁরা এই সভাপতি নির্বাচন বিষয়টিকে জটিল করতে বা "ফেভারিট প্লে" করতে চান না বলেই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত তাঁদের। "ভুল করেই সভাপতি নির্বাচনের তালিকায় আমাদের নাম রাখা হয়েছিল", সাংবাদিকদের বলেন সনিয়া গান্ধি। তিনি আরও বলেন যে,আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলিই নির্বাচন প্রক্রিয়াতে মূল ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় নেতাকেই আঞ্চলিক গোষ্ঠীর অংশ করা হয়েছিল। ওই আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলি রাহুল গান্ধির পরামর্শেই গঠিত হয়েছিল যাতে নতুন নেতা নির্বাচনের আগে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়।
ম্যারাথন বৈঠক! আজ রাত ৯টার মধ্যে জানা যাবে কংগ্রেসের নতুন প্রধান কে হবেন
সোনিয়া গান্ধিকে পূর্ব আঞ্চলিক কমিটির অংশ করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্র তথা পশ্চিম ভারতের আঞ্চলিক কমিটির অংশ হিসাবে রাহুল গান্ধির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল । মহারাষ্ট্র সেই বৃহত্তম রাজ্য যেখানে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
.রাহুল গান্ধির বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভঢরা, যিনি লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন, তিনি কংগ্রেসের এই অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন। কংগ্রেসের উত্তর প্রদেশ পূর্বের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল ৪৬ বছরের প্রিয়াঙ্কাকে যিনি এই বৈঠকে উত্তর-অঞ্চলের কমিটির সদস্য হিসাবে অংশ নিচ্ছেন।
এমন দাবিও উঠেছে যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভঢরা দলের দায়িত্ব (New Congress Chief) নেবেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এই আহ্বান জানান। তবে রাহুল গান্ধি এই প্রস্তাব উড়িয়ে সাফ জানিয়েছেন দল তাঁর মা (Sonia Gandhi) বা বোনকে শীর্ষ পদে নিতে পারবে না।
শনিবার কংগ্রেসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা হতে পারে, দৌড়ে এগিয়ে মুকুল ওয়াসনিক
লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পরেই রাহুল গান্ধি দলের শীর্ষ পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কেবল ৫২ টি আসনই জিততে সক্ষম হয়েছিল - ২০১৪ সালের নির্বাচনে জেতা ৪৪ টি আসনের তুলনায় সামান্য আসন বৃদ্ধি হয় তাঁদের। স্বয়ং রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) তাঁর পারিবারিক ক্ষেত্র বলে পরিচিত আমেঠিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানীর কাছে হেরে যান, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতাদেরও হারের মুখ দেখতে হয়।
তবে কংগ্রেস - নেহেরু-গান্ধি পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে এগিয়ে চলা কংগ্রেস রাহুল গান্ধির সভাপতি পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত মানতে প্রথমে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু রাহুলের (Rahul Gandhi) সিদ্ধান্তে পরিবর্তন না হওয়ায় একরকম নিরুপায় হয়েই দলের পরবর্তী প্রধান বাছার জন্যে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটি।